TRENDING:

বারাসত গনধর্ষণের ঘটনায় ধৃত ৩, একজন নিজেই আইনের ছাত্র!

Last Updated:

আইনজীবী বাবা। ছেলেও আইনের ছাত্র। দত্তপুকুর গনধর্ষণ মামলায় সাওয়াল জবাবে আদালতে উঠল সেই কথা।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
RAJARSHI Roy
advertisement

#বারাসত: বর্ষবরণের রাতে দত্তপুকুর থানার বামনগাছি গণধর্ষণ কাণ্ডে গ্রেপ্তার তিনজনের তিনদিনের পুলিশি হেফাজত। এই নির্দেশ দেয় বারাসত সি জে এম আদালত। এর মধ্যে একজন ধৃত আইনের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। তার বাবাও বারাসত আদালতের আইনজীবী। তিনি বিজেপির ল’সেলের সদস্য। এলাকয় বিজেপি নেতা বলে পরিচিত। উত্তর চব্বিশ পরগণার বামনগাছির কুলবেড়িয়াতে একটি গণধর্ষণের ঘটনার আতঙ্কিত স্থানীয়রা।

advertisement

আদালতে এদিন সাওয়াল জবাব চলাকালীন ডিফ্যাক্ট ল’ইয়ার হিসাবে সাওয়াল করতে গিয়ে আইনজীবী সমর ঘোষাল বিচারকে জানান ধৃত তিনজনের মধ্যে সৌগত সরকার নিজেই আইনের ছাত্র। আর তার বাবার নাম উল্লেখ করে আদালতকে বলেন প্রভাবশালী বাবার বখাটে ছেলে সৌগত এই গনধর্ষণের ঘটনায় জড়িত। এর পর আদালত থেকে বেড়িয়ে নির্যাতিতার আইনজীবী সমর ঘোষাল অভিযোগ করেন, তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তাঁর আরও অভিযোগ, তাঁকে আদালত চত্বরে দেখে নেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছে । বিজেপির নাম না করে নির্যাতিতার আইনজীবীর অভিযোগ, একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের মদতে এক অভিযুক্ত সৌগত সরকার ও তার বাবা অন্য অভিযুক্তদের ভরণ পোষণ করছে। সৌগত ধরা পড়েছে গণধর্ষনের অভিযোগে । নির্যাতিতার আইনজীবী সমর ঘোষাল তোপ দেগেছেন ঘটনার মূল পাণ্ডা তোতা এবং অভিযুক্ত সৌগতর আইনজীবী পিতার বিরুদ্ধেও । সমর ঘোষাল অভিযোগ এনেছেন, অভিযুক্ত সৌগতের বাবা আইনের পেশার পাশাপাশি রাজ্যের বিরোধী একটি রাজনৈতিক দলের সমর্থক । ফলে মদত আসছে সেখান থেকেই ।

advertisement

বামনগাছির এই কুলবেড়িয়াতে সাড়ে চার বছর আগে খুন হন প্রতিবাদী কলেজ ছাত্র সৌরভ চৌধুরীর। ২০১৪ সালের ৫ জুলাই সৌরভের দেহের শতছিন্ন খন্ডাংশ বামনগাছি ও দত্তপুকুর স্টেশনের মাঝামাঝি রেল লাইনের ওপরে পাওয়া গিয়েছিল । এলাকায় নারীদের বিরুদ্ধে অশালীন আচরণ ও মাদকদ্রব্য সেবনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সংগঠিত করে কুখ্যাত দুষ্কৃতী শ্যামল কর্মকার ও তার চ্যালা চামুণ্ডাদের কোপ দৃষ্টিতে পড়ে খুন হতে হয় সৌরভকে । প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে ওই এলাকা । কিন্তু সে সময় শ্যামল কর্মকার যে আতঙ্কের পরিবেশ কায়েম করেছিল শ্যামল ও তার মূল শাগরেদদের সাজা হওয়ার পরে আপাত শান্ত ছিল কুলবেড়িয়া। সাময়িক শান্তির রেশ কাটতে না কাটতেই আবার অশান্ত হয়ে ওঠে জেল থেকে ছাড়া পাওয়া সৌরভ হত্যাকাণ্ডে ধৃত রতন ওরফে তোতা এলাকায় ঢুকতেই । এলাকাবাসীর অভিযোগ, আবার ফিরছে আতঙ্কের পরিবেশ । সৌরভের বাবা মা দাদা প্রশ্ন তুলছেন, সৌরভের আত্মদান কি বিফলে যাবে ? এলাকাবাসীর অভিযোগ, পুলিশ এখন ঠুটো জগন্নাথ । তারা শোনেই না সাধারণ মানুষজনের অভিযোগ । কোনও সুরাহা হয়নি পুলিশ ফাঁড়ি গঠন করে । নারীদের নিরাপত্তা প্রায় নেই বললেই চলে, অভিযোগ তাঁদের । তাঁদের অভিযোগ, গণ ধর্ষণের বিষয় কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা হতে পারে না । বর্ষবরণের রাতের গণধর্ষণ আতঙ্কের উপত্যকার বাস্তব পরিস্থিতি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে । বৃহস্পতিবার বামনগাছি গণধর্ষণ কাণ্ডে ধৃত তিনজনকে নিয়ে আসা হয় বারাসত আদালতে । ধৃত তিন জন রতন দাস ওরফে তোতা, মৃণাল বিশ্বাস, সৌগত সরকার পুলিশের গাড়ি থেকে আদালতের লক আপে যেতে যেতে উদ্ধত ভাবে জানিয়ে যায় গণমাধ্যমকে তারা কোনও কথা বলবে না । তাদের তিন দিনের পুলিশি হেফাজত চাওয়া হয় দত্তপুকুর থানার পক্ষ থেকে। রায়টি প্রাথমিক ভাবে না দেওয়া হলেও শেষপর্যন্ত বিচারক তাদের তিন দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

প্রসঙ্গত, বর্ষবরণের রাতে দত্তপুকুর থানার বামনগাছি কুলবেড়িয়াতে এক মধ্যবয়সী মহিলার ঘরের দরজা ভেঙ্গে ঢোকে চারজন। তারা দল বেধে পাশবিক অত্যাচার করে মহিলার উপর। অচৈতন্য অবস্থায় তাকে ওই রাতে উদ্ধার করে স্থানীয়রা। ধর্ষিতা ওই মহিলার মুখ থেকে ঘটনা শুনে পরে স্থানীয় তিন জনকে আটক করে পুলিশ। আজ বারাসাত আদালতে গোপন জবানবন্দী দেওয়ার সময় নির্যাতিতা বলেন দলে চার জন ছিল। পুলিশ তিনজনকে ধরেছে মাত্র। তার দাবী, যে অন্যায় হয়েছে তাঁর সঙ্গে, তার জন্য দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা দিক আদালত।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
বারাসত গনধর্ষণের ঘটনায় ধৃত ৩, একজন নিজেই আইনের ছাত্র!
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল