মাটির পুতুল থেকে শুরু করে কাঠ ও স্লেট পাথরের নানা শিল্পকর্ম তৈরি করে প্রায় অর্ধশতক যাবৎ সোনামুখী শহরের নাম উজ্জ্বল করেছেন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক বিকাশবাবু। হাতের জাদুতে গড়ে তুলেছেন মা দুর্গা, কালী, শিব, লক্ষ্মী, গণেশ, সরস্বতী থেকে শুরু করে গ্রামীণ চালচিত্র, হাটবাজার, ধান চাষ সহ অনেক কিছু। তাঁর সংগ্রহশালায় সাজানো রয়েছে এমনই নানা জিনিস।
advertisement
আরও পড়ুনঃ শিক্ষকের অভাবে বন্ধ ঝাঁ চকচকে স্কুল! একমাত্র শিক্ষকের মৃত্যুর পরেও হয়নি নিয়োগ, বিপাকে শতাধিক পড়ুয়া
দীর্ঘদিন ধরে একটু একটু করে শিল্পকর্ম বানিয়ে সোনামুখীর নীলবাড়ি এলাকায় নিজের বাড়িতে একটি শিল্পকর্মের মিউজিয়াম গড়ে তুলেছেন বিকাশবাবু। তাঁর এই মিউজিয়াম দেখতে দূরদূরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসেন। শিক্ষকতার জন্য শিল্পচর্চায় একটু ভাটা পড়লেও, অবসরের পর দিব্যি পুরোদমে নিজের শখের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। শিল্পী জানান, ছোটবেলায় কুমোরটুলি থেকেই পেয়েছেন শিল্পচর্চার অনুপ্রেরণা।
ছোট ছোট শিশুদের হাতে খাতা কলমে শিল্পকর্ম তুলে ধরেছেন। ‘অ এ অজগর আসছে তেড়ে’ থেকে একে চন্দ্র, দুইয়ে পক্ষ সহ বাংলা ও ইংরেজি অক্ষরগুলিকে নিয়ে বিভিন্ন ছবি ফুটিয়ে তুলেতেন বিকাশবাবু। শিশুরা আনন্দে আটখানা হয়ে বাড়ি ফিরত। প্রতিদিনই তাঁদের বায়না ছিল, “স্যার আজ একটা নতুন কিছু শেখান”।
অবসরপ্রাপ্ত এই শিক্ষক বলেন, এই কাজে স্ত্রী এবং সন্তানের থেকে যথেষ্ট সহযোগিতা পেয়েছেন। তাঁদের কাছ থেকে বিন্দুমাত্র বিরক্তির আভাস পাননি তিনি। একইসঙ্গে জানান, তাঁর বানানো কোনও শিল্পকর্ম কখনও বিক্রি করবেন না। পারলে তাঁর সংগ্রহশালাটি আরও বড় করে তোলার ইচ্ছে রয়েছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তা সকলের দেখার জন্য খোলা থাকবে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
শিল্পীর কাঠের কাজগুলি অধিকাংশ গামার কাঠের তৈরি। তাছাড়া রয়েছে স্লেট পাথরের কাজ। তৎকালীন রাজ্যপাল নুরুল হাসান সোনামুখী বি জে হাই স্কুলের সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে এসে বিকাশবাবুর হাতে তৈরি দুর্গার সপরিবারের একটি ছবি দেখে খুশি হয়ে প্রশংসাপত্র দিয়েছিলেন। নিজের বাড়ির একটি ঘরে দীর্ঘ ৪৫ বছরের চেষ্টায় শিল্প নৈপুণ্যের এক আশ্চর্য নিদর্শন গড়ে তুলেছেন তিনি।





