TRENDING:

Bankura Snake News: মেঠো পথের কাদাজলে ফণা তুলে বিষধর চন্দ্রবোড়া! প্রাণ হাতে করে স্কুলের পথে পড়ুয়ারা, জানলে চোখে জল চলে আসবে

Last Updated:

Bankura Snake News: শিক্ষা সফর নয়! বাঁকুড়ায় ছাত্র-ছাত্রীদের কাদা জল পেরিয়ে স্কুল যাওয়ার ঘটনা জানলে অবাক হবেন।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়, বাঁকুড়া: লাইন দিয়ে স্কুলপড়ুয়ারা হেঁটে যাচ্ছে জমির মধ্যে দিয়ে, কাদা জল পার করে, এবং ঝোপঝাড়ের মধ্যে দিয়ে। আপাতদৃষ্টিতে দেখে মনে হতেই পারে শিক্ষা সফরে বেরিয়েছে পড়ুয়ারা! তবে আপনি জানলে অবাক হবেন যে এই পড়ুয়ারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্কুল যাচ্ছে। বাঁকুড়া জেলার গঙ্গাজলঘাটী ব্লকের গোবিন্দধাম গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত নূতনগ্রাম, বাঘরাকোন্দা, হলাইগড়িয়া গ্রামের দেড় কিলোমিটারের মধ্যে মাত্র একটি উচ্চ বিদ্যালয় রয়েছে যার নাম, বিহারজুড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়। স্কুলে যাওয়ার দুটি রাস্তা, একটি ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার ঘুরে মুখ্য রাস্তা ধরে, আর একটি চন্দ্রবোড়া সাপের কামড়কে উপেক্ষা করে জমি ধরে কাদাজল, ঝোপঝাড় পেরিয়ে।
advertisement

জমির রাস্তা ধরে গেলে দূরত্ব মাত্র দেড় কিলোমিটার, প্রায় দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে এই রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করেন পড়ুয়ারা।অনেক ধরনের ঘটনা ঘটে। গ্রীষ্মকালে প্রখর রোদ্দুর মাথায় করে জমির মধ্যে দিয়ে হেঁটে যেতে হয় ছাত্রছাত্রীদের। বর্ষাকালে জমিতে পা রাখা মৃত্যুর সমান। কাদা জলে পা পিছলে পড়ে দুর্ঘটনার সম্ভাবনার পাশাপাশি রয়েছে সাপের ভয়। শীতকালেও তাই। নূতনগ্রাম, বাঘরাকোন্দা, হলাইগড়িয়া গ্রামের কিশোর কিশোরীরা পড়াশোনা করার তাগিদ থেকেই এভাবে যাতায়াত করে থাকেন। সঙ্গে দিন দিন বাড়ছে, স্কুলছুটের সংখ্যা।

advertisement

আরও পড়ুন : খরচ করেন না কানাকড়িও! হাত দিয়ে জল গলে না! এই ৪ রাশির মানুষ চরম কৃপণ! জানুন বিয়ে বা প্রেমে পড়ার আগে

প্রান্তিক বাঁকুড়ার যখন শিক্ষাক্ষেত্রে আরও বেশি এগিয়ে যাওয়ার কথা, তখন যাতায়াত ব্যবস্থার কারণে বই থেকে মুখ সরে যাচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীদের। বিহারজুড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক অংশুমান মণ্ডল জানান, ‘‘মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষার ফলাফল একমাত্র ধরে রেখেছে এই গ্রামেরই ছেলেমেয়েরা। তাদের যদি বিদ্যালয়ে আসতে অসুবিধা হয় তাহলে ধীরে ধীরে এই অঞ্চলের শিক্ষার অবনতি হবে।’’

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

এই বিষয়ে প্রশাসন আলোকপাত করলে ভাল হয় বলে জানিয়েছেন, গ্রামবাসী থেকে শিক্ষক শিক্ষিকা এবং পড়ুয়ারা। সব থেকে বেশি সমস্যা হয় পরীক্ষার সময়। বর্ষাকালে পরীক্ষা থাকলে দুরু দুরু বুকে পড়ুয়াদের পা টিপে টিপে চলতে হয় জমির মধ্যে দিয়ে। সবদিক দিয়ে ভেবে দেখলে এক অদ্ভুত দৃশ্য ধরা পড়ল বাঁকুড়ায়। কবে ভাগ্য বদল হবে এই এলাকার ছাত্র-ছাত্রীদের, তা নিয়ে থেকে যাচ্ছে সংশয়।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Bankura Snake News: মেঠো পথের কাদাজলে ফণা তুলে বিষধর চন্দ্রবোড়া! প্রাণ হাতে করে স্কুলের পথে পড়ুয়ারা, জানলে চোখে জল চলে আসবে
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল