জমির রাস্তা ধরে গেলে দূরত্ব মাত্র দেড় কিলোমিটার, প্রায় দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে এই রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করেন পড়ুয়ারা।অনেক ধরনের ঘটনা ঘটে। গ্রীষ্মকালে প্রখর রোদ্দুর মাথায় করে জমির মধ্যে দিয়ে হেঁটে যেতে হয় ছাত্রছাত্রীদের। বর্ষাকালে জমিতে পা রাখা মৃত্যুর সমান। কাদা জলে পা পিছলে পড়ে দুর্ঘটনার সম্ভাবনার পাশাপাশি রয়েছে সাপের ভয়। শীতকালেও তাই। নূতনগ্রাম, বাঘরাকোন্দা, হলাইগড়িয়া গ্রামের কিশোর কিশোরীরা পড়াশোনা করার তাগিদ থেকেই এভাবে যাতায়াত করে থাকেন। সঙ্গে দিন দিন বাড়ছে, স্কুলছুটের সংখ্যা।
advertisement
আরও পড়ুন : খরচ করেন না কানাকড়িও! হাত দিয়ে জল গলে না! এই ৪ রাশির মানুষ চরম কৃপণ! জানুন বিয়ে বা প্রেমে পড়ার আগে
প্রান্তিক বাঁকুড়ার যখন শিক্ষাক্ষেত্রে আরও বেশি এগিয়ে যাওয়ার কথা, তখন যাতায়াত ব্যবস্থার কারণে বই থেকে মুখ সরে যাচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীদের। বিহারজুড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক অংশুমান মণ্ডল জানান, ‘‘মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষার ফলাফল একমাত্র ধরে রেখেছে এই গ্রামেরই ছেলেমেয়েরা। তাদের যদি বিদ্যালয়ে আসতে অসুবিধা হয় তাহলে ধীরে ধীরে এই অঞ্চলের শিক্ষার অবনতি হবে।’’
এই বিষয়ে প্রশাসন আলোকপাত করলে ভাল হয় বলে জানিয়েছেন, গ্রামবাসী থেকে শিক্ষক শিক্ষিকা এবং পড়ুয়ারা। সব থেকে বেশি সমস্যা হয় পরীক্ষার সময়। বর্ষাকালে পরীক্ষা থাকলে দুরু দুরু বুকে পড়ুয়াদের পা টিপে টিপে চলতে হয় জমির মধ্যে দিয়ে। সবদিক দিয়ে ভেবে দেখলে এক অদ্ভুত দৃশ্য ধরা পড়ল বাঁকুড়ায়। কবে ভাগ্য বদল হবে এই এলাকার ছাত্র-ছাত্রীদের, তা নিয়ে থেকে যাচ্ছে সংশয়।