এটি একদিকে যেমন পরিবেশ রক্ষা করছে, তেমনই জঙ্গলমহলের আদিবাসী পরিবারগুলিকে স্বনির্ভরতার পথে এগিয়ে দিচ্ছে। এই ইউনিটে বর্তমানে মহিলা ও পুরুষ মিলিয়ে বহু আদিবাসী মানুষ কাজ করছেন। কেউ শালপাতা সেলাই, হিটিং ও কাটিংয়ের কাজে যুক্ত, আবার কেউ জঙ্গল থেকে শালপাতা সংগ্রহ করে কুড়চি কাঠি দিয়ে হাতে সেলাই করে রোদে শুকিয়ে তা বাজারজাত করছেন। জানা গিয়েছে, এক হাজার শালপাতা ৩৫০ টাকা দরে বিক্রি করে ভালই রোজগার করছেন জঙ্গলমহলের মহিলারা। ফলে সংসারের আর্থিক টানাপোড়েন অনেকটাই কমেছে।
advertisement
কর্মরত স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের কথায়, এই ইউনিটে কাজ করে প্রতিদিন গড়ে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত আয় হচ্ছে। ভবিষ্যতে ইউনিট আরও বড় হলে আরও অনেক স্বনির্ভর গোষ্ঠী উপকৃত হবেন বলে তাঁরা আশা প্রকাশ করেছেন। আদিবাসী স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যেরা এই কাজের মাধ্যমে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। শালপাতার থালা ও বাটির ব্যবহার বাড়লে থার্মোকল ও প্লাস্টিকের মতো অপচনশীল ও পরিবেশ দূষণকারী সামগ্রীর ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে কমবে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
দক্ষিণ বাঁকুড়ার জঙ্গলমহল দীর্ঘদিন শিল্পহীন এলাকা হিসেবেই পরিচিত। সেই জঙ্গলমহলের সম্পদকে কাজে লাগিয়ে রাজ্য সরকারের এই পরিকল্পনা শুধু পরিবেশ রক্ষা নয়, মানুষের জীবিকায়ও নতুন আশার আলো দেখাচ্ছে বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।





