উৎসবের প্রথম দিন, শনিবার, নাট্যপ্রেমীদের সামনে মঞ্চস্থ হয় দুটি উল্লেখযোগ্য নাটক। প্রথমে দমদমের শব্দমুগ্ধ নাট্য কেন্দ্রের প্রযোজনায় পরিবেশিত হয় সামাজিক বাস্তবতাকে কেন্দ্র করে নির্মিত নাটক ‘বেলবাবু’। মানবিক অনুভূতি ও সমাজের নানা স্তরের টানাপোড়েন তুলে ধরা এই নাটক দর্শকদের মন ছুঁয়ে যায়। এরপর চুঁচুড়ার যৌথিক নাট্য গোষ্ঠীর প্রযোজনায় মঞ্চস্থ হয় ‘হেমন্ত অরণ্যে সেই পোস্টম্যান’।
advertisement
নাটকের বিষয়বস্তু, সংলাপ ও মঞ্চসজ্জা দর্শকদের কাছ থেকে বিশেষ প্রশংসা কুড়িয়েছে। রবিবার, উৎসবের দ্বিতীয় দিনে, মঞ্চে ওঠে বাঁকুড়া প্রকল্পনার নিজস্ব প্রযোজনা নাটক ‘অভাব’। সমাজের নিত্যদিনের সংকট ও মানুষের জীবনের অন্তর্দ্বন্দ্বকে নাট্যরূপে তুলে ধরেছে এই প্রযোজনা। পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমানের পথিকৃৎ নাট্য সংস্থার প্রযোজনায় দর্শকদের সামনে উপস্থাপিত হয় নাটক ‘পোস্ত’, যা সমকালীন সমাজবাস্তবতাকে কেন্দ্র করে নির্মিত।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
নাট্যপ্রেমীদের মতে, প্রান্তিক বাঁকুড়া অঞ্চলে আজও নাটক ও যাত্রা লোকশিক্ষার এক গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। নাটকের মাধ্যমে সহজ ভাষায় মানুষকে সচেতন করা, সামাজিক বার্তা পৌঁছে দেওয়া এবং শিক্ষামূলক বিষয় তুলে ধরা সম্ভব। সেই কারণেই এই ধরনের নাট্য উৎসবের গুরুত্ব অপরিসীম। সংস্কৃতি ও নাট্যচর্চার প্রসারে বাঁকুড়া প্রকল্পনার এই ধারাবাহিক উদ্যোগ বাঁকুড়ার সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে আরও সমৃদ্ধ করবে বলেই মনে করছেন শিল্পী ও দর্শক মহল।





