বাঁকুড়া জেলার সোনামুখী থানার পাঁচাল গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। সোনামুখী থানা থেকে যার দূরত্ব ২৫ কিলোমিটার। মাঝখানে রয়েছে সোনামুখীর গভীর জঙ্গল। জঙ্গলে রয়েছে হাতি। হাতির আতঙ্ক তাড়া করে বেড়ায় এলাকার মানুষদের। এই পাঁচাল গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় রয়েছে ২৫ টি গ্রাম। এলাকায় কোনও সমস্যা বা দুর্ঘটনা ঘটলে থানা থেকে পুলিশ আসতে প্রায় এক ঘণ্টা সময় লেগে যায়। স্বাভাবিকভাবে এলাকায় অশান্তির ছড়াতে বা চুরি ডাকাতি করতে অসাধু ব্যক্তিদের কোনও সমস্যাই হত না। তাই এই এলাকার মানুষদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল তাদের এলাকায় যাতে পুলিশ প্রশাসন একটি পুলিশ ক্যাম্প তৈরি করে। সাধারণ মানুষের এই অভাব অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখে জেলা পুলিশ প্রশাসন।
advertisement
আরও পড়ুন: চোখ লাল করে বাড়িতে ঢুকে গৃহবধূকে কটূক্তি যুবকের! প্রতিবাদ করতেই কোপ পড়ল শ্বশুরের ঘাড়ে, সাংঘাতিক ঘটনা
অবশেষে তাদের চাহিদা মত এদিন বাঁকুড়া জেলা পুলিশ সুপার বৈভব তেওয়ারি এলাকায় একটি নতুন পুলিশ ক্যাম্পের উদ্বোধন করলেন। গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ের ওপর তলায় পঞ্চায়েতের দেওয়া রুমেই এই পুলিশ ক্যাম্প তৈরি করা হল। এতে করে মনে করা হচ্ছে একদিকে যেমন এলাকার মানুষ সুরক্ষিত থাকবে সুরক্ষিত থাকবে গ্রাম পঞ্চায়েতও।
আরও পড়ুন: দক্ষিণে ভ্যাপসা গরম, উত্তরে দুর্যোগের মাঝেই পুজোর আগে ফের ঘূর্ণাবর্ত! বৃষ্টি ভাসাবে ‘এইসব’ জেলা
পুলিশ সুপার জানান, চারিদিকে পাড়ায় সমাধান হচ্ছে, দুয়ারে সরকার হচ্ছে তবে এবার দুয়ারে পুলিশ হল পাঁচাল গ্রামে। তিনি আরও জানান, ২৪ ঘন্টা এই ক্যাম্পে পুলিশ থাকবে এলাকার মানুষের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য। পুলিশের একটি মোবাইল ভ্যান সব সময় এলাকায় টহল দেবে। ছোটখাটো কোনও অভিযোগ হলে এই ক্যাম্পে তারা লিখিত আকারে জানাতে পারে। শুধুমাত্র কোনও কেস ডায়েরি করার জন্য তাকে সোনামুখী থানায় যেতে হবে তাতেও সাধারণ মানুষকে সহযোগিতা করবে এই ক্যাম্প। এই ক্যাম্পে সবসময়ের জন্য একজন সাব-ইন্সপেক্টর পদ মর্যাদার পুলিশ, পাঁচজন কনস্টেবল, একজন ভিলেজ পুলিশ ও বেশ কিছু সিভিক ভলেন্টিয়ার এই ক্যাম্পে থাকবে স্বাভাবিকভাবেই দুর্গাপুজোর আগে পুলিশের এই উদ্যোগে খুশি এলাকার মানুষজন।