২০১৯ লোকসভা, ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে জেলার সবকটি পুরসভায় এগিয়ে থেকেও পুরভোটে একেবারেই পিছিয়ে গেল বিজেপি। বাঁকুড়া জেলায় ৪ (চার) জোড়া বিধায়ক ও ১ জোড়া সাংসদ থেকেও পদ্ম ফুলের এই ভরাডুবি মেনে নিতে পারছেন না দলের নিচুতলার নেতা কর্মীরা। ফল প্রকাশের পর থেকে সোশ্যাল সাইটে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছে তাঁরা। এই খারাপ ফলের দায় বিজেপির সাংসদ, বিধায়ক ও জেলা নেতৃত্বের বলেই অভিযোগ তাঁদের।
advertisement
আরও পড়ুন: ট্রেনের চাকায় ওটা কী আটকে? মানুষের পা নাকি? হাড়হিম ঘটনা হাড়োয়ায়! বন্ধ হয়ে গেল ট্রেন
জেলার তিনটি পুরসভার ৫৮ টি ওয়ার্ডের মধ্যে মাত্র দুটি ওয়ার্ড ফুটেছে পদ্মফুল। বাকি ওয়ার্ডে কোথাও দুই, কোথাও তিন আবার কোথাও চারে পৌঁছাল বিজেপির ভোট ব্যাংক। এতটায় খারাপ জায়গায় গেল বিজেপির ফল বাঁকুড়া পুরসভার ১৬ নং ওয়ার্ডও রক্ষা করতে পারলনা বিজেপি। এই ওয়ার্ড বিজেপি বাঁকুড়া সাংসদ তথা কেন্দ্রের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার, বিজেপি বাঁকুড়া বিধায়ক নিলাদ্রি শেখর দানার। তারপরেও বিজেপির এই দুই হেভিওয়েটও নিজেদের ওয়ার্ডকে জেতাতে পারেনি। জিততে তো পারেইনি দল বরং এই ওয়ার্ডে একাবারেই চার নম্বরে গেল পদ্মের ভোট ব্যাঙ্ক। তৃনমূলের কাছে জেলার সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল এই ওয়ার্ডে বিজেপিকে হারানো।
আরও পড়ুন: পুরভোটের ফলের পরই একটা ছোট্ট ট্যুইট, তাতেই শোরগোল ফেললেন লকেট! তাহলে কি...
দলের এই ভরাডুবির দায় বাঁকুড়া জেলা বিজেপি নেতৃত্বের সাংসদ ও বিধায়কদের ঘাড়ে দিতে ক্ষোভ উগরে দিলেন বাঁকুড়া শহর যুব মোর্চা সভাপতি। প্রশ্ন তুললেন তিনি। দুটি সাংগঠনিক জেলায় অযোগ্য সভাপতিদের হাতে দায়িত্ব দেওয়ার কারনে এই ফল হয়েছে বলে বিস্ফোরক দাবি করলেন বিজেপি বিধায়ক অমর নাথ শাখা। তাঁর দাবি বিজেপির সংগঠন মজবুত করতে যোগ্য নেতৃত্বের হাতে জেলা সভাপতির দায়িত্ব দেওয়ার কথা বলা হলেও অযোগ্য লোকদের হাতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এর থেকে আর কী ফল আশা করা যায়।
Mritunjoy Das