চলতি বছরেরই ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে গয়ায় এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন সুতন্দ্রা৷ পানাগড়ের কাছে উল্টে যায় সুতন্দ্রাদের গাড়িটি৷ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ওই নৃত্যশিল্পীর৷
সুতন্দ্রার মৃত্যুর আগেই ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন তাঁর বাবা৷ সেই চিকিৎসার খরচ জোগাতে গিয়ে প্রচুর টাকা খরচ হয়েছিল সুতন্দ্রাদের পরিবারের৷ বাড়ি এবং দোকান তৈরি করতে গিয়ে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা ঋণ হয়েছিল সুতন্দ্রার পরিবারের৷ সুতন্দ্রার মৃত্যুর পর সেই ঋণ আর শোধ করতে পারেননি তাঁর মা তনুশ্রীদেবী৷
advertisement
সুতন্দ্রার মৃত্যুর পর নিজের বৃদ্ধা মা এবং শাশুড়িকে নিয়ে চন্দননগরের বাড়িতে থাকছিলেন তনুশ্রীদেবী৷ এ দিকে ঋণশোধের জন্য তাগাদা দিতে শুরু করে ব্যাঙ্ক৷ ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেও কোনও সুরাহা হয়নি৷ প্রথমে সুতন্দ্রাদের দোকানের দখল নেয় ব্যাঙ্ক৷ বৃহস্পতিবার তাঁদের বাড়িরও দখল নিয়ে নিল ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ৷
সুতন্দ্রার মৃত্যু রহস্য উদঘাটনে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন তনুশ্রীদেবী৷ সেই মামলার রায় এখনও বেরোয়নি৷ মেয়েকে হারানোর পর এবার মাথার উপরের ছাদটুকুও চলে গেল৷ আগামী দিনে কীভাবে তাঁদের চলবে, তা নিয়েই চিন্তায় সুতন্দ্রার মা৷
