বিএসএফ জওয়ানদের নরম মনোভাবকে হাতিয়ার করে পরবর্তীতে বাংলাদেশের চোরাচালান কারবারিরা বেশি হিংসাত্মক ঘটনা শুরু করতেই বিএসএফ জওয়ানরা নিজেদের রক্ষা করতে বাংলাদেশের চোরাচালান কারবারিদের লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। বিএসএফ জওয়ানদের গুলি বাংলাদেশের এক চোরা চালান কারবারির বাঁ পাঁয়ের হাঁটুর নীচে লাগতেই বাংলাদেশের এক চোরা চালান কারবারি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে যায় এবং অন্যরা ভয়ে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। অন্যদিকে বাংলাদেশের চোরা চালান কারবারি গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়তেই পা থেকে প্রচন্ড রক্তক্ষরণ শুরু হয়।
advertisement
পরবর্তী সময়ে বিএসএফ জওয়ানরা বাংলাদেশের চোরা চালান কারবারিকে উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঊনকোটি জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। জেলা হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক বাংলাদেশের চোরা চালান কারবারিকে মৃত বলে ঘোষণা দেয়। উল্লেখ্য, দেবীপুর এলাকাটি কৈলাশহরের ইরানি থানার অন্তর্গত। ঘটনার খবর পেয়ে কৈলাশহরের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক জয়ন্ত কর্মকার এবং ইরানি থানার ওসি অরুনদয় দাস সংশ্লিষ্ট এলাকাটি পরিদর্শনে যান। তবে, এ ব্যাপারে বিএসএফ কিংবা পুলিশ কেউই প্রকাশ্যে কিছু বলতে নারাজ। পুলিশ কিংবা বিএসএফের পক্ষ থেকে কোনও ধরনের মন্তব্য পাওয়া না গেলেও মৃত বাংলাদেশের চোরা চালান কারবারির বড় ভাই জয়ন্ত বৈদ্য জানান যে, মৃত বাংলাদেশের চোরা চালান কারবারি উনার ছোট ভাই এবং মৃতের নাম প্রদীপ বৈদ্য। উনার ছোট ভাই প্রদীপ বৈদ্য বাড়ি থেকে বের হয়ে আর বাড়িতে যাননি। রাতে বাড়িতে না যাওয়ায় সকলেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন।
পরবর্তী সময়ে খবরপান উনার ছোট ভাই প্রদীপ বৈদ্য আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে মারা গেছে। এই খবর শুনে স্থানীয় গ্রামের বাংলাদেশের বর্ডার গার্ডের ক্যাম্পে গিয়ে খোঁজ নিলে বর্ডার গার্ডের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে তারা কিছুই জানেন না। এরপর মৃত প্রদীপ বৈদ্যের বড় ভাই জয়ন্ত বৈদ্য স্থানীয় কুলাউড়া থানাতে গিয়ে জিডি এন্ট্রি করেন। মৃতের বড় ভাই জয়ন্ত বৈদ্য বাংলাদেশ সরকারের কাছে অনুরোধ রাখেন যে, মৃতদেহ খুব শীঘ্রই ভারত থেকে এনে পরিবারের হাতে তোলে দেওয়া হোক।
তাছাড়া বাংলাদেশের কুলাউড়া থানার অন্তর্গত শরিফপুর ইউনিয়নের নয় নং ওয়ার্ডের সদস্য জয়নুল ইসলাম জানান যে, বাংলাদেশের মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া থানার অন্তর্গত শরিফপুর ইউনিয়নের দত্ত গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা শৈলেন্দ্র বৈদ্যের ছেলে মৃত প্রদীপ বৈদ্য। প্রদীপের বয়স কুড়ি থেকে বাইশ হবে। মৃত বাংলাদেশের চোরাচালান কারবারি প্রদীপ বৈদ্যের বাবা খুবই বয়স্ক এবং বাড়িতে বিছানায় শয্যাশায়ী অবস্থায় রয়েছেন। মৃত প্রদীপ বৈদ্য খুবই গরীব এবং অসহায় বলেও জানান।