একই ব্যক্তি দুইদেশে ভোটার লিস্টে নাম। রবীন্দ্রনাথ কীর্তনীয়া বাংলাদেশের খুলনা জেলার বাসিন্দা, তার কাছে রয়েছে বাংলাদেশ সরকার জাতীয় পরিচয় পত্র, নম্বর ১৯৩৩২১০৮৩১। আবার তারই ভারতীয় পরিচয় পত্রের এপিক নম্বর TYK2779858। একই ব্যক্তির দুই দেশে কীভাবে ভোটার লিস্টে নাম উঠল তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। মাঝেসাজে তিনি মধ্যমগ্রাম বিধানসভার পশ্চিম খিলকাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫০ নম্বর বুথে তিনি আসেন। জমিও কিনেছেন সেই জমি বাঁচাতেই এদেশে ভোটার লিস্টে নাম তুলেছেন বলে রবীন্দ্রনাথ কীর্তনীয়ার ভাইয়ের বউয়ের দাবি।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘পুলিশের’ গাড়িতে মদ্যপ অবস্থায় ‘ওঁরা’! গাড়ি থেকে নেমে গ্রামবাসীদের মারধর, ছাড় পেল না মহিলারাও
কিন্তু কীভাবে ভোটার লিস্টে নাম উঠেছে রবীন্দ্রনাথ কীর্তনীয়ার ভাইয়ের বউ জানেন না। এলাকার এক বাসিন্দার দাবি, তিনি নেতাজি পল্লী এলাকায় মাঝেসাজে থাকলেও নাম তুলেছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর পশ্চিম বিধানসভার ১৪০ নম্বর বুথে।
কীভাবে বাংলাদেশী ব্যক্তির ভারতীয় পরিচয় পত্র পেল? কারা সাহায্য করল? কীভাবে তিনি ভারতীয় ভোটার আইডি কার্ড তুলে জমি কিনলেন সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বাংলাদেশের ব্যক্তির ভোটার কার্ডে নাম তোলা নিয়ে রাজনৈতিকতা তরজা শুরু হয়েছে। বিজেপির দাবি এই ধরনের ব্যক্তিদের তুলে এনে ভারতীয় ভোটার লিস্টে নাম তুলে রাজনৈতিক ফায়দা নিত শাসক দল। তৃণমূল অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছে, বিজেপি একটি সম্প্রদয়কে নিয়ে রাজনীতি করছে, অবৈধভাবে কেউই দুই দেশের বাসিন্দা হতে পারেন না। কোনও সুযোগ সুবিধা নিতে পারেন না নির্বাচন কমিশন ও বিএসএফ বিজেপির অধীনে এই সমস্ত ভোটারদের ফায়দা নিত বিজেপি।
