যদিও বাংলা থেকে ওড়িশার পটচিত্রের বেশ কিছু ফারাক আছে। তিন শূন্য নম্বরের তুলি দিয়ে এই পটচিত্র আঁকা হয়। কাজগুলি হয় অতি সূক্ষ্ম। বেশিরভাগ পটচিত্র হয় জগন্নাথ দেব, মহাপ্রভুর উপরে করা হলেও গণেশ, সরস্বতী, কালী ইত্যাদি দেব দেবতারও দেখা মেলে। নদিয়ার শান্তিপুরের মেয়ে শুভশ্রী চ্যাটার্জির ছোটবেলা থেকেই ছবি আঁকার প্রতি আগ্রহ ছিল প্রবল। ছোটবেলা থেকেই তিনি ছবি আঁকার প্রশিক্ষণ নেন। এরপর বিবাহ সূত্রে চলে যান ভুবনেশ্বরে। সেখানে গিয়েই তিনি প্রথম ওড়িশার পটচিত্রের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করেন। এরপর ওখানেই তিনি পট চিত্রের প্রশিক্ষণ নেন। এরপর বেশ কিছু পটচিত্র তিনি তৈরি করার পরে অনেকেই তাঁকে পরামর্শ দেন শান্তিপুর এসে একটি প্রদর্শনী করার।
advertisement
আরও পড়ুন: তাপপ্রবাহের রক্তচক্ষুর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ভারী হচ্ছে অফিসের ব্যাগ
এর পরেই এমন এক সুন্দর শিল্পকলা শান্তিপুরবাসীর কাছে তুলে ধরার জন্য শান্তিপুর কলা তীর্থে ২৭ ও ২৮ এপ্রিল বিকেল সাড়ে পাঁচটায় একক পটচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করেন। যদিও সাধারণ দু একটি রং কে ব্যবহার করেই বেশ কিছু রঙ তৈরি করে এই পটচিত্র তৈরি করা হলেও অ্যাক্রেলিক রং-এর উপর ভিত্তি করে এই পটচিত্র গুলি এঁকেছেন বলেই জানান শিল্পী শুভশ্রী চ্যাটার্জী। এর আগে ২৫ তারিখে ওড়িশাতেও তিনি একটি প্রদর্শনী করেন। তবে শান্তিপুর তাঁর নিজের শহর বলে পরপর দুইদিন তিনি শান্তিপুরে তাঁর শিল্পকলা তুলে ধরেন।
মৈনাক দেবনাথ