কিন্তু তারপরে আর তার এসি সারাতে ওই সংস্থা কোনও লোক পাঠায়নি। তিনি বারংবার সংস্থায় যোগযোগ করলেও কেউ আসেননি। এরপরে তিনি দমদম (Dum Dum) থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ এই ধরনের আরও বেশ কয়েকটি অভিযোগ পায়। দেখা যায় মহিলার মতো অনেকেই এসি সরানোর জন্য অনলাইনে ওই সংস্থায় ফোন করেন। এরপরে সংস্থা বাড়িতে লোক পাঠায়। তারপরে বার্ষিক মেইনটেনেন্সের নাম করে কারও থেকে পাঁচ হাজার, তো কারো কাছ থেকে সাত হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন- মন্দিরে দুঃসাহসিক চুরি! প্রণামী বাক্স হাতিয়ে নেওয়ার সিসিটিভি ফুটেজ রইল
কিন্তু কোনও রকম পরিষেবা প্রদান করা হয়নি। এমনকি ভিন্ন রাজ্যের বাসিন্দাদেরও এরা এই ভাবে প্রতারিত করেছে। তদন্তে আরও জানা যায় এমন অনেকে আছেন যাঁরা অভিযোগ পর্যন্ত জানাননি। এর পরেই দীর্ঘ ছয় মাস ধরে তদন্ত চালিয়ে ফোনের টাওয়ার লোকেশনের মাধ্যমে দমদম থেকে শ্যামল বালা নামে এক প্রতারককে গ্রেফতার করে দমদম (Dum Dum)থানার পুলিশ। এর পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বারাসাত থানা এলাকা থেকে ইন্দ্রজিৎ সিনহা নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রতারণার অঙ্ক কয়েক লক্ষ টাকা। সূত্রের আরও খবর, ধৃতদের আগামীকাল ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হবে। ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে জানার চেষ্টা করা হবে এই চক্রের সাথে আর কারা কারা যুক্ত রয়েছে এবং এই চক্রের জাল কত দূর পর্যন্ত তারা ছড়িয়েছে এবং কতজনকে তারা তাদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলেছে।
Anup Chakraborty