বিশাল বিশাল হাতির পর এবার ছোট্ট ছোট্ট মাজরা ও বাদামি শোষক পোকা, সঙ্গে নিম্নচাপের বৃষ্টির জের। একের পর এক দুর্বিপাকে দফারফা রাজ্যের শস্য ভান্ডার পূর্ব বর্ধমান জেলার আমন ধানের (Paddy Farming)। ধান তোলার মুখে শোষক পোকার হামলায় জেলায় ধান চাষের যে বিপুল ক্ষতি হয়েছে মানছে কৃষি দফতরও। বহু টাকা খরচ করে চাষ করার পর এভাবে নষ্ট হতে দেখে মাথায় হাত কৃষকদের।
advertisement
এবার পূর্ব বর্ধমান জেলায় রোগ-পোকায় খেলো আমন ধান। পোকার আক্রমণে পাকা ধানে মই জেলা জুড়ে।
আরও পড়ুন-'বিজেপির ক্ষমতার শিকার শাহরুখ খান', মুম্বইতে মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
কৃষি দফতরের প্রাথমিক রিপোর্টে জেলার প্রায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার হেক্টর জমির ধান পোকায় ক্ষতির আশঙ্কা করা হয়েছে। সেই রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, জেলার ২৩টি ব্লকের মধ্যে ১৭টি ব্লকেই ধান চাষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। মূলত, পোকার আক্রমণে ও রোগের প্রকোপে ধান চাষ ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার রিপোর্ট মিলেছে। জেলা কৃষি দফতরের প্রাথমিক রিপোর্টের ভিত্তিতে সরেজমিনে তদন্ত শুরু করেছেন আধিকারিকরা। তারপরই চূড়ান্ত রিপোর্ট পাঠানো হবে রাজ্যে।
জেলা কৃষি দফতর ও বিমা সংস্থার কর্মীরা জমি পরিদর্শন শুরু করছেন। যে সমস্ত মৌজায় এক-তৃতীয়াংশ জমির ধান ক্ষতিগ্রস্ত হবে সেখানকার চাষিরা সরাসরি রাজ্য সরকারের কৃষক বিমা আওতায় ক্ষতিপূরণ পাবেন। চলতি মরশুমে বিভিন্ন সময়ে নিম্নচাপের জেরে ক্ষতি হয়েছে ধানে। তার পর রাজ্যের শস্যগোলা হিসেবে পরিচিত গলসি ও আউশগ্রামের একাংশে হাতির হানায় ফসলের ক্ষতি হয়েছে। পাকা ধানে এবার রোগ-পোকার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে বিভিন্ন ব্লকে। মাঠের পর মাঠের ধান নষ্ট হতে বসেছে। ধানের শিস সাদা হয়ে যাচ্ছে। ফলন পাওয়ার আশা কর্যত ছেড়ে দিয়েছেন বহু চাষিই।
আরও পড়ুন-ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’! এ রাজ্যে এর কী প্রভাব পড়বে ?
জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ মহম্মদ ইসমাইল বলেন, জেলায় কৃষির ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখবেন আধিকারিকরা। তারপর সেই রিপোর্ট রাজ্যে পাঠানো হবে। রাজ্যের নির্দেশ মতো ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হবে।
জেলার উপ কৃষি অধিকর্তা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ইতিমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় পরিদর্শন করা শুরু হয়েছে। মূলত পোকা ও বিভিন্ন রোগের আক্রমণে যেসব জমিতে ধানের ক্ষতি হয়েছে তার ভিত্তিতেই রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। জমি পরিদর্শন করে চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে। বিমা সংস্থার কর্মীরাও ক্ষতির পরিমাণ সরেজমিনে তদন্ত করে দেখছেন। চূড়ান্ত রিপোর্ট পেলেই ক্ষতিপূরণের পরিমাণ জানা যাবে।
Saradindu Ghosh