বাংলার ১৩৫৯ সালের ৩ ফাল্গুন বিয়ে হয়েছিল ভগবানগোলা থানার বামুনিয়া গ্রামের বিশ্বনাথ সরকারের। পাত্রী রঘুনাথগঞ্জ থানার ফেজালপুর এলাকার সুরধ্বনি সরকার। ৬ ছেলে ও ৩ মেয়ে নিয়ে বিশ্বনাথবাবু ও সুরধ্বনি দেবীর সংসার। সকলেই বিবাহিত। কর্মসূত্রে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে রয়েছেন তাঁরা। কিন্তু বাবা মায়ের প্রতি দায়িত্ব কর্তব্য তাঁরা ভোলেনি কেউই। তাই বাবা মায়ের ৭০তম বিবাহ বার্ষিকীকে তাঁদের চমক দিতে বিয়ের আয়োজন করলেন ছেলে-মেয়ে নাতি-নাতনিরা।
advertisement
আরও পড়ুন- শহরের বুকেই ফাঁস ভুয়ো কল সেন্টারের হদিশ! সেক্টর ফাইভে বিধাননগর সাইবার ক্রাইমের অভিযান
নিয়ম করে বাবার পৈতৃক বাড়ি ভগবানগোলা থানার বামুনিয়া গ্রামে মাকে রেখে আসেন তাঁরা। আর বাবাকে বর সাজিয়ে টোপর মাথায় দিয়ে ঘোড়ার গাড়িতে বসিয়ে বাজনা বাজিয়ে বরযাত্রী নিয়ে নাচতে নাচতে বিয়ের আসরে হাজির হন ছেলে মেয়েরা। অন্যদিকে পাত্রের অপেক্ষায় সেজেগুজে প্রস্তুত সুরধ্বনি দেবীও। রীতিমতো ধুমধাম করে বাবা মায়ের বিয়ে দিলেন ছেলে মেয়েরা। দাদু ঠাকুমার বিয়েতে বরযাত্রী এসে, ঠাকুমাকে বউ সাজিয়ে দিয়ে খুশি নাতনি পায়েল সরকার।
বর কনেকে মিষ্টি মুখ করিয়ে আশীর্বাদ ও বরণ করে শুরু হয় বিয়ের আয়োজন। ছাদনা তলায় মালা বদল করে সব রীতি নীতি মেনে সম্পন্ন হয় বিয়ে। বিশ্বনাথবাবু ও সুরোধ্বনি দেবীর শুভ পরিণয়। সকল আত্মীয় পরিজন নিয়ে ছিল ৫০০ লোকের পাত পেড়ে খাওয়া দাওয়ার আয়োজন ছিল। পুত্রবধূ গীতা সরকার বলেন, "পরিবারের সকলের সঙ্গে কথা বলে শ্বশুর শাশুড়ির বিয়ের আয়োজন করা হয়। পরিবারের সকলকে নিয়ে আনন্দ মজা করতেই বিয়ের আয়োজন।" দাদু দিদার বিয়েতে কোলপাত্র হয়ে এসে খুশি নাত জামাই সমীর কুমার। ৭০ বছর পর আবার নিজের বিয়ের আয়োজনে ছেলে মেয়েদের খুশিতে চোখের জল বাধ মানলনা বৃদ্ধ বিশ্বনাথ বাবুর ও সুরধ্বনি দেবীর।
Pranab Kumar Banerjee