TRENDING:

Bangla News: পরিবারের কাছে ফিরল হারিয়ে যাওয়া ছেলে, রক্ষাকর্তার নাম রিপন! কে তিনি?

Last Updated:

খবর পেয়েই তৎপরতার সঙ্গে ইয়াসকে খুঁজে ফিরিয়ে দেয় পরিবারের কাছে। (Bangla News)

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#বীরভূম: হারিয়ে যাওয়া ছেলেকে ফিরিয়ে দিয়ে পরিবারের মুখে হাসি ফোটালেন পরিযায়ীদের বন্ধু রিপন। বাবার কাছে বকা খেয়ে বাড়ি ছেড়ে ছিল বীরভূম জেলার পাইকর থানার মুরারই ২ নম্বর ব্লকের রামচন্দ্রপুর গ্রামের ১৩ বছরের ছেলে ইয়াস সেখ । ঠিক তারপরই ছেলেকে খুঁজে পেতে সাহায্য করেনি প্রশাসন, এমনই অভিযোগ পরিবারের। খবর পায় পরিযায়ী শ্রমিকদের বন্ধু রিপন। খবর পেয়েই  তৎপরতার সঙ্গে  ইয়াসকে খুঁজে ফিরিয়ে দেয় পরিবারের কাছে । (Bangla News)
Bangla News
Bangla News
advertisement

দীর্ঘদিন ধরে লকডাউনে বন্ধ ছিল স্কুল-কলেজ । গ্রামের দিকে উন্নত স্কুল ও উন্নত ইন্টারনেট পরিষেবা না থাকার জন্য অনেক ছেলেমেয়ে অক্ষরজ্ঞানহীন হয়ে পড়েছে । অনেক ছেলে-মেয়ে স্কুলছুট হয়ে গেছে । কিন্তু তার মধ্যেও স্বপ্ন দেখছেন গ্রামের দিনমজুর পরিবারের মানুষগুলো । দিনমজুর পরিবারগুলো পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে ভিন রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে দুঃখ দুর্দশা দেখে অভ্যস্ত তাই তারা চাইছে না তাদের ছেলেমেয়েগুলো তাদের মত পরিযায়ী শ্রমিক হোক । দুঃখ ও অনটনের সংসারে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার কোনো ত্রুটিই রাখছেন না গ্রামের মানুষগুলো । ঠিক তেমনই প্রতিটি বাবা-মায়ের মতোই ইয়াসের বাবা-মা চেয়েছিল তাদের ছেলেকে মস্ত বড় অফিসার বানাবেন ।  কিন্তু ইয়াসের দুরন্তপনায় চিন্তিত ছিল তার বাবা মা।

advertisement

আরও পড়ুন: বর্ধমান স্টেশনে পুলিশি হানা! মানুষ নয়, আলোচনার কেন্দ্রে ১৯৪টি পাখি!

হঠাৎ একদিন ইয়াস স্কুলে না গিয়ে খেলতে গেলে তার বাবা শাবরুল সেখ তাকে বকাঝকা করেন । বাবার কথায় রাগ করে ফেব্রুয়ারি মাসের ৫ তারিখ বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় ১৩ বছর বয়সের ইয়াস সেখ । অনেক খোঁজাখুঁজি করার পর তার খোঁজ মেলে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের জলপাইগুড়ি জেলাতে । তারপরই ছেলেকে ফিরে পেতে সব ধরনের চেষ্টা চালিয়েছিলেন ইয়াসের বাবা । ছেলের সন্ধান পেতে পুলিশ স্টেশনে যোগাযোগও করেন তিনি । কিন্তু ছেলে অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় মিসিং ডায়েরি হয়নি , একটি জেনারেল ডায়েরি করে তাদের ফিরিয়ে দেয় পুলিশ । তারপর ছোট্ট ছেলেকে ফিরে পেতে গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য থেকে বিধায়কের দরবার ছোটা-ছুটি করেছেন রহিমা ও শাবরুল ।

advertisement

আরও পড়ুন: ঘরে ঘরে এই জুটির চর্চা, গুমা থেকে মুম্বই কাঁপাচ্ছে সুব্রত-সঞ্চিতা!

ছেলেকে আবার বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে চেষ্টায় কোন ত্রুটি রাখেনি শাবরুল । শেষে বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চের বীরভূম জেলার সহযোদ্ধা মোহাম্মদ রিপনের ছেলে হারানোর এই কথাটি জানতে পারেন । তারপরই মুরারাই বিধানসভার বিধায়কের পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট আলম সেখ সমস্ত ব্যাপারটি খুলে বলেন রিপনকে । রিপন সমস্ত ঘটনা শোনার পর যোগাযোগ করেন ইয়াশের মামা জিয়ারুল ও ওই গ্রামের যুবক লিটনের সাথে । তাদের সাথে কথা বলে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দেন রিপন । রিপন জানান, " ইয়াসের মামার কাছ থেকে সমস্ত ঘটনা শোনার পর মনটা যেন ব্যাকুল হয়ে গেছিলো । ছোট্ট ইয়াস প্রায় দুমাস ধরে শিলিগুড়ির হোমে বন্দি ছিল । দুরন্ত ইয়াসের বয়সটা এই খোলা আকাশের নিচে প্রাণভরে নিঃশ্বাস নেওয়া ও কোলাহল করার কিন্তু সে তোতাপাখির মতো খাঁচাবন্দি শিলিগুড়িতে । "

advertisement

ইয়াসের মামা আরো জানান , " বীরভূম জেলা চাইল্ড লাইন থেকে কয়েকজন অফিসার আমাদের বাড়িতে এসে সার্ভে করে গেছে কিন্তু ১৫ দিন হওয়ার পরও এখনো আমরা আমাদের ভাগ্নেকে পায়নি । ছেলেটি আমাদের রাজ্যে আছে অথচ একটি ছেলেকে ফিরে পেতে এতটা কি সময় লাগে ? প্রশাসনের তৎপরতায় কি তাড়াতাড়ি ছোট্ট ইয়াসকে ঘরে ফিরে পাওয়া যেত না ? " তারপরই সবটা জেনে রিপন ছোট্ট ইয়াসকে তার বাবা মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিতে চেষ্টা শুরু করে । তিনি যোগাযোগ করেন বীরভূম ডিস্ট্রিক্ট চাইল্ড প্রটেকশন ইউনিট , চাইল্ড লাইন আধিকারিক ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের শিশু ও নারী কল্যাণ মন্ত্রকের সেক্রেটারি , জয়েন্ট সেক্রেটারি , ডেপুটি সেক্রেটারি , শিলিগুড়ি জেলা ডিস্ট্রিক্ট চাইল্ড প্রোটেকশন ইউনিটের সাথে । তারপরই যোগাযোগ করা হয় বীরভূম ডিস্ট্রিক চাইল্ড প্রোটেকশন ইউনিটের অফিসারদের সঙ্গে । অবশেষে সোমবার ছেলেটিকে তার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় । এদিকে রাজ্য সভাপতি অধ্যাপক সামিরুল ইসলাম ও সম্পাদিকা মনীষা ব্যানার্জিরা রিপনের এই কাজে অত্যন্ত খুশি ।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
এভারেস্ট জয় করে ফেরা হয়নি শিক্ষকের! রানাঘাট চারের পল্লীর বিশ্বের সম্মান দিল সুব্রত ঘোষকে
আরও দেখুন

এদিকে নন্দীগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নাজরিন সুলতানা জানান,  " ছেলেটি বাড়িতে ফিরে এসেছে তার বাবা-মায়ের কোল খুব আনন্দ হচ্ছে । রিপনের কাছে আমি ব্যাপারটা শুনেছিলাম এবং তাকে আমার পক্ষে যতটুকু সম্ভব সহযোগিতায় সমস্ত ধরনের আশ্বাস দিয়েছিলাম । রিপন আমারই গ্রামের ছেলে অত্যন্ত পরিশ্রমী এবং মেধাবী একজন ছেলে । সব সময় মানুষের কথা ভাবে মানুষের জন্য কাজ করে । লকডাউনে পরিযায়ী শ্রমিকদের সমস্যা থেকে শুরু করে গর্ভবতী মহিলাদের রক্তের ব্যবস্থা , যেকোন সমস্যার সমাধানে সর্বদা এগিয়ে যান । সমাজের জন্য রিপন দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছে বারবার । "

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Bangla News: পরিবারের কাছে ফিরল হারিয়ে যাওয়া ছেলে, রক্ষাকর্তার নাম রিপন! কে তিনি?
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল