মালদহের কালিয়াচক হাইস্কুলে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ পেয়ে আচমকা হানা জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক সহ শিক্ষা দপ্তরের তদন্তকারী দলের। দলের নেতৃত্বে ছিলেন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক বাণীব্রত দাস। মালদহের কালিয়াচক হাইস্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা ২৩০০ ( দুই হাজার তিনশো। শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন ৫০ জন। অথচ, এই স্কুলে পড়াশোনা নিয়েও বিস্তর অভিযোগ পৌঁছয় জেলা শিক্ষা দফতরে।
advertisement
স্কুলের বিভিন্ন নথিপত্র খতিয়ে দেখেন তদন্তকারীরা। এতে উঠে আসে নানা অনিয়ম। মিড ডে মিলের হিসেবে গরমিল। প্রকৃত উপস্থিতির চেয়ে বেশি পড়ুয়ার হাজিরা দেখানোর অভিযোগ। স্কুলের পরিস্থিতি দেখে ব্যাপক ক্ষুব্ধ মালদহের মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক বাণীব্রত দাস। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে চরম ভৎর্সনা করেন তিনি।
আরও পড়ুন: পরিস্থিতি প্রবল খারাপ, দিল্লিতে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত সব স্কুল বন্ধ! কী এমন হল রাজধানীতে?
জেলা শিক্ষা দফতরে পরিদর্শকরা দেখেন শিক্ষকদের ছুটির হিসেবে বিস্তর গরমিল। শিক্ষকেরা যে যেমন পেরেছেন ছুটি নিয়েছেন। সরকারের নিয়ম না মেনে কোন কোন শিক্ষকের টানা এক সপ্তাহের বেশি ক্যাজুয়াল লিভ বা সি এল দেখানো হয়েছে। স্কুলে একসঙ্গে দশ শিক্ষকের অনুপস্থিতি ধরে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের কাছে প্রত্যেকের ছুটির আবেদন পত্র দেখতে চান ডি আই। এর কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি প্রধান শিক্ষক। পরে অন্যান্য শিক্ষকদের সঙ্গেও আলাদা বৈঠক করে সতর্ক করা হয়। যেখানে ভুলভ্রান্তি না শোধরালে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
যদিও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সায়েম আজগর বলেন , আচমকা ডিআই সাহেব এসেছিলেন। মূলত শিক্ষকদের ছুটির পদ্ধতিগত ভুলের কথা বলা হয়েছে। সমস্ত ত্রুটি শুধরে নেওয়া হবে ।