আরও পড়ুনঃ এই জিলিপিতে একবার কামড় দিলেই….! মেলায় লম্বা লাইন, কিনতেও হুড়োহুড়ি
হ্যান্ডবলে রুপো জেতেন সানিয়া খাতুন । পূর্ণতি সাঙ্গুই , মনিরা খাতুন , রিয়া রায় ও রাজশ্রী সিনহা ভলিবলে সোনার পদক এনে জেলার মুখ উজ্জ্বল করেন। ঠিক একই ভাবে ছেলেদের ফুটবলে স্বর্ণ পদক জয়ী করেন ইটাগরিয়ার আব্দুল সাবির। মেয়েদের ফুটবলে পদক জয়ী পাপিয়া মুৰ্মু, ইতি মাল, সোনিয়া হেমব্রম। তাঁদের মধ্যে অনেকেই তাঁদের জয়ী পদক নিয়ে সোমবার হাজির হন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখের কাছে । তাঁকে যেমন শুভেচ্ছা জানালেন নতুন পদের জন্য , পাল্টা কাজল শেখও পদক জেতার জন্য শুভেচ্ছা জানালেন কৃতীদের।
advertisement
পদকজয়ীরা কেউ চাইলেন খেলার সরঞ্জাম , কেউ বললেন যাতে আগামী দিনে স্পোর্টস কোটায় কোনও চাকরি যদি পাওয়া যায়। কাজল শেখ তাঁদের সঙ্গে কথা বলার জন্য আগামী সপ্তাহে আসতে বললেন। তিনি জানালেন , “সবে দায়িত্ব পেয়েছি । একটু বুঝে নিতে সময় লাগবে।” এদের মধ্যে কেউ চাষ করেন , কারুর আবার প্রথম বর্ষের পাঠরত তো কেউ পড়েন একাদশ শ্রেণিতে । নিজের পদক তাঁরা কাজল শেখকে দেখাতে পেরে খুশি।
পাপিয়া মুর্মু জানান, “আমরা খেলার উপযুক্ত মাঠ, খেলার সরঞ্জাম যেন পাই।” প্রসঙ্গত নবজোয়ার যাত্রায় এসে নগরী গ্রামের পাস দিয়ে যাওয়ার সময় পাপিয়ার সঙ্গে দেখা করে তাঁকে স্পেশাল অলিম্পিকে যাওয়ার আগে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । ইটাগড়িয়া গ্রামের আব্দুল সাবির বলেন, “দারিদ্রের জন্য কৃষি কাজে নেমেছি । সরকারি সুবিধা পেলে আমরা খেলাটা চালিয়ে যেতে পারি। একটা চাকরি পেলে জেলার তথা রাজ্যের নাম রাখতে পারি।” তবে সব শুনে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ।