পূর্বস্থলী থেকে প্রচুর পরিমাণ গাঁজা উদ্ধারের মামলায় পাঁচজনকে দশ বছরের কারাদণ্ড দিল আদালত। এছাড়াও তাদের এক লক্ষ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছ মাস করে কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল তাদের দোষী সাব্যস্ত করেছিল বর্ধমানের মাদক সংক্রান্ত বিশেষ আদালত।
আরও পড়ুন: ‘যোগ্য কারা-অযোগ্যই বা কারা, তালিকা আছে SSC-CBI উভয়ের কাছেই’, যোগ্যদের বার্তা শিক্ষামন্ত্রীর
advertisement
সাজাপ্রাপ্তদের নাম হরেকৃষ্ণ বালা ওরফে মরন বালা, তার ছেলে শুভঙ্কর বালা ওরফে শুভ, খাম্বি সিং, খোয়াই বাকপম, বুম্বা সিং ও মতিলাল সিং। পূর্বস্থলী থানার দশঘড়িয়া পাড়ায় হরেকৃষ্ণ ও শুভঙ্করের বাড়ি। অসমের শান্তিপুর থানা এলাকায় খাম্বির বাড়ি। মণিপুরের বিষ্ণুপুরে খোয়াইয়ে বাকপমের বাড়ি। অপরজনের বাড়ি মণিপুরের কাওয়া থানা এলাকায়। গ্রেফতারের পর থেকে শুভঙ্কর ছাড়া বাকিরা জেলে ছিল।
শুভঙ্করের জামিন মঞ্জুর করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। বুধবার তাকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে নেওয়া হয়। বর্ধমানের মাদক সংক্রান্ত বিশেষ আদালতের বিচারক মনোজ কুমার রাই পাঁচজনকে এনডিপিএস অ্যাক্টে বৃহস্পতিবার সাজা ঘোষণা করেন।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের ৩০ জানুয়ারি মণিপুর থেকে একটি ট্রাকে করে পূর্বস্থলীতে গাঁজা আনা হচ্ছে বলে খবর পায় এসটিএফ। সেই মতো ঘটনার দিন দুপুর থেকে পূর্বস্থলীর সুলুন্টু মোড়ের কাছে নজরদারি শুরু করে এসটিএফ। হরেকৃষ্ণ বালা ওরফে মরন বালা, তার ছেলে শুভঙ্কর বালার কাছে ওই গাঁজা আসছে বলে খবর ছিল। তাই তাদের আটক করা হয়। তারা এসটিএফের গোয়েন্দাদের ট্রাকটি চিনিয়ে দেয়।
সাজা ঘোষণার পর
এরপর ট্রাকটিকে দাঁড় করানো হয়। তল্লাশিতে চালকের কেবিনের পিছনে তৈরি করে রাখা বাঙ্কার থেকে থরে থরে সাজিয়ে রাখা গাঁজার প্যাকেট উদ্ধার হয়। বাঙ্কার কেটে গাঁজার প্যাকেট বের করা হয়। মোট ৮২৪ কেজি ২০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার হয়। ট্রাকে অসম ও মণিপুরের বাসিন্দারা ছিল। এসটিএফের তরফে ঘটনার কথা জানিয়ে পূর্বস্থলী থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।
এসটিএফের আইনজীবী অরিন্দম মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘গ্যাংটি ওড়িশা, মণিপুর থেকে গাঁজা এনে এ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তা পাচার করত। হরেকৃষ্ণ ও তার ছেলে শুভঙ্কর মণিপুর থেকে গাঁজা আনার বরাত দেয়। হোয়াটসঅ্যাপে ট্রাকের চালকের সঙ্গে তাদের যোগাযোগের বিষয়টি আদালতে প্রমাণিত হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অন্য কোথাও মামলা নেই বলে আদালতে বয়ান দিয়েছে হরেকৃষ্ণ।’ কিন্তু, সে অন্য একাধিক মামলায় অভিযুক্ত। আদালতে মিথ্যা বয়ান দেওয়ার জন্য তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যও আবেদন জানিয়েছি বলে জানান আইনজীবী অরিন্দমবাবু।
শরদিন্দু ঘোষ