আরও পড়ুনঃ একুশের মঞ্চে বদ্ধপরিকর অভিষেক! সংসদে বাংলায় কথা বলবেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদরা
চঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটে হাবরা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। পরিবার সূত্রে জানা যায় গোবরডাঙ্গা থানার শানপুকুর প্রতাপনগর এলাকার জানাফুল স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর পড়ুয়া গোপাল কুন্ডু নামে ১৪ বছরের এই কিশোরের গত দুদিন আগে জ্বর হয়েছিল। গতকাল রাতে হঠাৎ বুকে ব্যথার কথা বলতেই পরিবারের সদস্যরা রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ হাবরা হাসপাতালে নিয়ে এলে ডাক্তার এই কিশোরকে ভর্তি নিয়ে নেয়। তবে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরেও এই কিশোর বুকে ব্যথায় ছটফট করছিল। কিশোরের মা নুপুর কুণ্ডু বারবার ডাক্তারকে ডাকছিলেন – নার্সকে ডাকছিলেন। কিন্তু কোন সাড়া মেলেনি – নুপুর দেবি বারবার বলেছিলেন ছেলেকে অক্সিজেন দিতে। কিন্তু সেই অক্সিজেন দিয়ে দিলেন তবে কিশোরের মৃত্যুর ৫ মিনিট আগে। কিশোরের মৃত্যু হয়। কান্নায় ভেঙে পড়েন গোটা পরিবার। ছেলেকে হারিয়ে হাবরা হাসপাতাল চত্বরে বারবার কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা গেল অসহায় মাকে।
advertisement
সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরার সামনে ক্ষোভ উগ্রে দিয়ে মৃত কিশোরের মা নুপুর কুন্ডু বলেন আমার ছেলে বিনা চিকিৎসায় মারা গেল। যদিও এই ঘটনা নিয়ে হাবরা হাসপাতালের সুপার বিবেকানন্দ বিশ্বাস আমাদের ক্যামেরার সামনে কিছু বলতে রাজি না হলেও। তিনি জানিয়েছেন ছেলেটির চিকিৎসা চলছিল ডেঙ্গু টেস্ট করা হয়েছে কিন্তু ডেঙ্গু ধরা পড়েনি বা কোন ইনফেকশন থেকে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। প্রশ্ন উঠছে তরতাজা এই কিশোরের মৃত্যুর দায় কে নেবে।