আরও পড়ুনঃ বৃষ্টিতে নষ্ট ফসল, পুজোর মুখে লাফিয়ে বাড়ছে সবজির দাম! আশঙ্কা কতদিন?
প্রসঙ্গত, রানিনগর পঞ্চায়েত সমিতির মোট ২৭টি আসনের মধ্যে বাম কংগ্রেস জোট পেয়েছিল ১৪টি, তৃণমূল পায় ১৩টি। বাম-কংগ্রেস জোট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও সহকারী সভাপতি গঠন করে। সভাপতি হন কুদ্দুস আলি। পরবর্তীকালে তিনজন কংগ্রেস সদস্য তৃণমূলে যোগদান করে। তার ফলে সংখ্যাটা হয় তৃণমূলের ১৬ ও জোটে ১১। এরপর রানিনগর ২নং পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতি গঠনের আগেই রানিনগর থানা ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কুদ্দুস আলিকে। এর প্রতিবাদে ফেটে পড়ে কংগ্রেস নেতা কর্মীরা। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কুদ্দুস আলি জেল হেফাজতে থাকায় হাইকোর্টের নির্দেশে পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতি গঠন স্থগিত রাখা হয়। হাইকোর্টের নির্দেশে কুদ্দুস আলি জামিন মুক্ত হওয়ার পর সোমবার স্থায়ী সমিতি গঠন প্রক্রিয়া শুরু হয় রানিনগর ২নং পঞ্চায়েত সমিতিতে। তবে এদিন তৃণমূলের সাংসদ আবু তাহের খান অসুস্থ থাকার তিনি ভোটদানে অনুপস্থিত ছিলেন।
advertisement
স্থায়ী সমিতি গঠন প্রক্রিয়া মাঝপথেই ছেড়ে বাইরে বেড়িয়ে এসে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কুদ্দুস আলি বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে গদ্দারি করা হল। যে সমস্ত সদস্যদের জনগণ ভোট দিয়ে জয়ী করেছিল তাঁদের ধমকে চমকে স্থায়ী সমিতি গঠনে আমাদের বিপক্ষে ভোট দেওয়া করানো হয়েছে। সেই কারণে আমরা ভোটাভোটি প্রক্রিয়া শেষ না করেই মাঝপথেই বেড়িয়ে চলে আসি। তবে, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হিসেবে আমি সাধারণ মানুষের পাশে থেকে তাঁদের উন্নয়নে কাজ করব।’ বিধায়ক সৌমিক হোসেন বলেন, ‘বাম-কংগ্রেস জোটের জয়ী সদস্যরা তাঁদের দলের দুর্নীতি দেখে উন্নয়নের হাত ধরতে তৃণমূলে যোগদান করেছি। আর তাই তৃণমূলকে সমর্থন করেছি।’ উন্নয়নের লক্ষ্যেই রানিনগর ২নং পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতির ৯টি পদই তৃণমূল দখল করেছে।