আরও পড়ুন: দেশে করোনা সংক্রমণের হারে শীর্ষে পশ্চিমবঙ্গ, জানাল উদ্বিগ্ন কেন্দ্র
রাস্তাঘাটে বহু মানুষের মাঝখানে কারও মাস্ক রয়েছে, আবার অনেকের সেটা গলায় ঝোলানো (Bangla News)। সকাল সকাল বরানগর পৌরসভার অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ বোর্ডের চেয়ারম্যান অপর্ণা মৌলিক মাঠে নামতেই শুরু হল ধরপাকড়। তিনি মাস্কহীনদের মাস্ক বিলি করলেন। দেখা গেল, সবাই সামনে মাস্ক পরছেন, দূরত্ব বাড়লেই মাস্ক মুখ থেকে নামিয়ে ফেলছেন। এরই মধ্যে, অপর্ণা দেবী একটি মিষ্টির দোকানে ঢোকেন। পেছনে মিষ্টির কারখানাতে ঢুকে গেলেই দেখা যায়, কারিগরেরা মাস্কহীন ভাবে মিষ্টি বানাচ্ছেন। চেয়ারম্যানকে দেখে সবাই স্তম্ভিত হয়ে পরেন। অপর্ণা দেবী রীতিমত রেগে যান ওই কারখানার মালিক ও শ্রমিকদের ওপর।
advertisement
আরও পড়ুন: ভোট দিতে পারবেন করোনা আক্রান্তরাও, আতঙ্কের করোনাকালে জরুরি নির্দেশিকা কমিশনের
খাওয়ার জিনিস বানানোর ক্ষেত্রে একেবারে এতটা উদাসীন,সত্যি অপরাধ বলে মনে করছেন সবাই। অপর্ণা দেবী দোকানদারকে সাবধান করে দেন।তিনি বলেন, এই মিষ্টি সবাই কিনে নিয়ে গিয়ে খান। এই রকম চলতে থাকলে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে, তার সঙ্গে সাবধান করে দেন কারিগরদের। বনহুগলির এই চেহারা একেবারে চিন্তায় ফেলেছে সবাইকে। তবে সামাজিক দূরত্বের যে কোনো বালাই নেই, সেটা দেখেই বোঝা গেল। বরানগর বাজারের এক সব্জি বিক্রেতা বললেন,তিনি প্রতিদিন তিন থেকে চার হাজার টাকার মূলধন নিয়ে ব্যবসা করতে আসেন। তার ওপর চার দিন বন্ধ।সাধারণ মানুষের বাজারে আসার প্রবণতা কমেছে।তাই লাভের পরিমাণ কমেছে। চায়ের দোকান থেকে আরম্ভ করে সমস্ত দোকান খোলা।সামাজিক দূরত্ব কি শুধু বাজারে আসলেই কমে? এই প্রশ্ন শুধু একজনের না। সঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকা অন্য দোকানদারদেরও।