ফলে দীর্ঘ লাইন পড়ছে রোগীদের। প্রসঙ্গক্রমে স্থানীয়দের অভিযোগ , এখানে দায়িত্বে থাকা ‘এমও’ সপ্তাহের সব দিন আসেন না। থাকেও না বেশিক্ষণ। এমতাবস্থায় আউশগ্রাম জঙ্গলমহলের বিস্তীর্ণ এলাকার রোগীদের দুর্ভোগ বেড়েছে। এলাকার অমরপুরের আদিবাসী অধ্যুষিত জঙ্গলের ১৭টি গ্রামের পাশাপাশি রামনগরের হরিনাথপুর, পাথারকুচি, ডাঙাপাড়া, ছোড়া, ছোড়া কলোনী, নওয়াপাড়া, পল্লীশ্রী, কুড়ুল, মালিয়াড়া, গোপালপুর, উল্লাসপুর, পাণ্ডুক, পুবারসহ ভেদিয়ার সাগরপুতুল, তালিমবাটি, মালচা, বমকুল থেকে কয়েক হাজার মানুষ প্রতিদিন আসে চিকিৎসার জন্য।
advertisement
আরও পড়ুন: কোনও ব্যথাকে অবহেলা নয়, ৪০-এর পর হাড়ে ‘ঘুণ’ ধরে! ক্ষয় থেকে বাঁচার ৫ পথ জানুন
অতীতে ১০ বেডের হাসপাতাল বর্তমানে চলছে টিমটিম করে আউটডোর পরিসেবা। তাও সেখান থেকে স্টাফ তুলে নেওয়ার জন্য এই প্রতিবাদ। স্থানীয়রা অভিযোগ, হাসপাতালের সীমানা প্রাচীর ভেঙে প্রতিদিনই বেদখল হচ্ছে জায়গা, সে নিয়ে কোনও মাথাব্যথা নেই বিএমওএইচ’ এর। গেট ভেঙে চুরি হয়ে গিয়েছে। লাইট নেই। জেনারেটর ঘরে গিয়েছে ভেঙে। পাম্প হাউসও চুরি গিয়েছে। রাতের প্রহরী না থাকার কারণে গাঁজা, মদের ঠেক বসছে হাসপাতালের ঘরে। স্থানীয়দের অনুরোধ, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারেই বিবেচনা করা হোক।
আরও পড়ুন: খালি পেটে, নাকি ভরা পেটে মিষ্টি খেলে সুগার বাড়ে? আপনি কি জানেন এই জরুরি তথ্যটি? জানুন
এলাকায় একটি প্রস্তাবিত থানা, তিনটে উচ্চ বিদ্যালয় এবং ২১ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। সর্বক্ষণের চিকিৎসা কর্মী থাকা দরকার। বর্ষার চাষের সময় চাষবাসের বিভিন্ন ক্ষত হলে, জ্বর-জ্বালা হলে, কেটে গেলে এবং সাপের উপদ্রবে বিপদে পড়লে মানুষ এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপরই নির্ভর করে। স্থানীয় বাসিন্দা লেখক রাধামাধব মণ্ডল জানিয়েছেন, এমন সময় অনৈতিক ভাবে এখান থেকে, একজন স্বাস্থ্য কর্মীকে তুলে নেওয়ার তীব্র প্রতিবাদ করছি। বিষয়টি আমরা প্রশাসনের শীর্ষ স্তরে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।