পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ি ঝাড়খন্ডে হলেও কর্মসূত্রে বর্ধমানের দেওয়ানদিঘি থানার মাহিনগরে থাকে সর্জুনের বাবা ও মা। সর্জুনের বাবা স্থানীয় একটি ইঁটভাটায় কাজ করেন। সেই ইঁটভাটাতেই তাঁরা গত ১ বছর ধরে থাকেন। শনিবার বাড়িতে ইঁটভাটার পে-লোডারের একটি ডিজেলের কৌটো কুড়িয়ে নিয়ে আসে সর্জুনের দাদা। সেই ডিজেলকেই জল ভেবে খেয়ে নেয় সর্জুন। পরে অসুস্থতা বোধ করলে তাকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার রাতে সর্জুনের মৃত্যু হয়।
advertisement
সোমবার দেহ ময়না তদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই শিশুর বাবা মা দুজনেই ইঁট ভাটায় কাজ করেন। সকাল থেকে সন্ধে পর্যন্ত কাজ করতে হয় তাঁদের। মাঝে মাঝে ওই শিশুকে দেখে যেত তার মা। কিন্তু ঘরে যে ডিজেল ভর্তি পাত্র রয়েছে তা তারা খেয়াল করেনি। সেই ডিজেল পান করেই মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ে ওই শিশু।
আরও পড়ুন- শেষ বয়সে বর্ধমানে এসেছিলেন রবীন্দ্রনাথ, দেখা করতে যান মহারাজ বিজয়চাঁদ
কাজের সন্ধানে পাশের রাজ্য থেকে বর্ধমানে এসেছিলেন ওই শিশুর বাবা মা। কৃষি শ্রমিকের কাজ করতেই এসেছিলেন তাঁরা। সব সময় কৃষি জমিতে কাজ থাকে না। তাই কাজ নিয়েছিলেন ইঁট ভাটায়। কিন্তু পেটের তাগিদে কাজ করতে আসার পরিণাম যে এমন মর্মান্তিক হবে তা কল্পনাতেও আনতে পারেননি এই দম্পতি। ঘটনার জেরে শোকে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন তাঁরা।
শরদিন্দু ঘোষ