সামনেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে বাংলায় বড় নির্বাচন বলতে এই পঞ্চায়েত ভোটই। ভোটের দিনক্ষণ এখনও ঘোষণা হয়নি, কিন্তু ইতিমধ্যেই বেজে গিয়েছে দামামা। প্রতিটি রাজনৈতিক দলই নিজের মতো করে ঘুঁটি সাজাতে শুরু করে দিয়েছে। আর কেষ্টহীন বীরভূমে নিজেদের পায়ের তলার মাটি শক্ত করতে উঠে পড়ে লেগেছে বিরোধী দলগুলি। তৃণমূলের নীচুতলার কর্মী ও সমর্থকদের ছিনিয়ে এনে চলছে শক্তি প্রদর্শনের পালা। শনিবার তেমনই ঘটনা ঘটল বীরভূমের হাঁসনে। প্রায় ৫০০ কর্মী ও সমর্থক তৃণমূল ছেড়ে যোগ দিলেন কংগ্রেসে।
advertisement
আরও পড়ুন: অভিষেকের এক নির্দেশেই ভয়ে কাঁপছে দল! কে প্রার্থী ঠিক করবে, স্পষ্ট করলেন এক শব্দেই
দিন কয়েক আগেই মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর হাত ধরে কংগ্রেসে যোগদান করেছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ-সহ জেলা পরিষদের প্রাক্তন বনভূমি কর্মাধ্যক্ষর ছেলে-সহ প্রায় ৬,০০০ তৃণমূল কর্মী ও সমর্থক। তারপর ক’দিন কাটতে না-কাটতেই হরিহরপাড়ায় পঞ্চায়েত সমিতির এক সদস্য-সহ ৫০টি পরিবার তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেয়।
আরও পড়ুন: 'কোনও দ্বন্দ্ব নেই', ফিরহাদের সিদ্ধান্ত বদলে যেতেই কুণাল বলে দিলেন, 'ওটা ক্লোজড চ্যাপ্টার'!
শুক্রবার মালদার রতুয়ায় তৃণমূল নেতা প্রদীপ সাহা, রতুয়া ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য টিপু সুলতান, বাহারাল গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪ জন সদস্য ও দেবীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১ জন সদস্য তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে ফেরেন। তাঁদের সঙ্গে কংগ্রেসে ফেরেন কয়েকশো নেতা-কর্মী। তার রেশ কাটতে না-কাটতেই এবার কেষ্টহীন বীরভূমে তৃণমূলকে ভাঙল কংগ্রেস। যে মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি উপনির্বাচনে সম্প্রতি বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী জয়ী হয়েছেন, সেই সাগরদিঘি সীমান্তেই বীরভূম তৃণমূলে ভাঙন ধরাল হাত শিবির।