বুধবার সকাল থেকে মহিষাদল ব্লক এলাকা জুড়ে বনদফতরের পক্ষ থেকে শুরু হয়েছে মাইকিং প্রচার। মাইকিং করে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে- সেন্দরা পরব, ফলহারিনী কালী পুজো কিংবা শিকার উৎসবে উচ্চ আদালতের নির্দেশক্রমে কোনও বন্যপ্রাণীকে অবৈধভাবে শিকার করে তার মাংস ভক্ষণ করা যাবে না। এই শিকার উৎসব চলবে ২৫ মে থেকে ২৯ মে পর্যন্ত। বন্যপ্রাণীদের বাসস্থানের প্রভূত ক্ষতি করে এবং বায়ো ডাইভারসিটিকে নষ্ট করতে পারে এই ধরনের কাজের উপর জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। কলকাতার উচ্চ আদালতের নির্দেশ মেনে বনদফতর-সহ বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তর, রেল কর্তৃপক্ষর সমন্বয়ে ওই বিশেষ দিনগুলিতে যাতে পশু শিকার এবং জীব বৈচিত্রের ক্ষতিসাধনের হাত থেকে পরিবেশকে রক্ষা করার প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: এসে পৌঁছেছে 'সেই সব' নথি, অনুব্রতকে নিয়ে ছক সাজাচ্ছে সিবিআই! শুক্রে যা হতে চলেছে...
মহিষাদল ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক যোগেশচন্দ্র মণ্ডল জানিয়েছেন, "সামগ্রিক সচেতনতার জন্য মাইকিং এবং লিফলেট বিতরণ করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনকে এ ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে। সেন্দরা পরব ও শিকার উৎসবে যাতে কেউ সাপ, গোসাপ, নেউল, ভাম ,মেছো, বিড়াল ,পাখি, বাদুড় বা অন্য কোনও বন্যপ্রাণী শিকার না করে, তার জন্যই এই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ১৯৭২ সালের বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী এটি একটি দণ্ডনীয় অপরাধ৷ সাজা হিসেবে ১০ বছর পর্যন্ত জেল এবং ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে৷
সুজিত ভৌমিক