TRENDING:

Bamboo Poles: ঘাটালে ফের বন্যার শঙ্কা! ভেঙে গেল একের পর এক বাঁশের সাঁকো, বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ

Last Updated:

Bamboo Poles: ঝুমি নদীর দু'পাড়ে রয়েছে বসবাসের জায়গা। স্বাভাবিকভাবে প্রতিদিন এই নদীর উপরে থাকা অস্থায়ী বাঁশ কিংবা কাঠের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করতেন বহু মানুষ

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
পশ্চিম মেদিনীপুর: ঘাটাল এবং বন্যা যেন সমার্থক হয়ে উঠেছে। প্রতিবছর বর্ষাকালে বানভাসি হয় ঘাটাল। বৃষ্টিতে ঘাটাল মহকুমায় থাকা বিভিন্ন নদীতে জল বেড়ে যাওয়ায় সেই জল ক্রমশ প্রবেশ করছে এলাকায়। এই কারণেঈ প্রতিবছর বর্ষাকালে বন্যা লেগেই থাকে। এবারেও দফায় দফায় বৃষ্টির কারণে বাড়ছে বিভিন্ন নদীর জল। টানা বৃষ্টিতে ঘাটাল ব্লকের ঝুমি নদীতে জল বেড়েছে। শুধু জল বাড়া নয়, কচুরিপানার চাপে ভেঙে গিয়েছে ঝুমি নদীর উপরে থাকা বিভিন্ন বাঁশ ও কাঠের অস্থায়ী সাঁকো। ফলে বিপদে পড়তে হয়েছে নদীর দু’পাড়ে থাকা এলাকার মানুষজনকে।
advertisement

নদীর এক পাড়ে বিদ্যালয়, অপর পাড়ে বাজার, থাকার জায়গা। অর্থাৎ ঝুমি নদীর দু’পাড়ে রয়েছে বসবাসের জায়গা। স্বাভাবিকভাবে প্রতিদিন এই নদীর উপরে থাকা অস্থায়ী বাঁশ কিংবা কাঠের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করতেন বহু মানুষ। তবে কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে ঘাটাল ব্লকের ঝুমি নদীতে জল বেড়েছে। ভেসে আসছে কচুরিপানা। আর কচুরিপানার চাপে সাতটি বাঁশের সাঁকো ভেঙে ভেসে গিয়েছে। তবে বর্তমানে কয়েকটি জায়গায় চালু হয়েছে নৌকা পরিষেবা। শুক্রবার এই পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেন ঘাটাল মহকুমা প্রশাসন। সশরীরে গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন ঘাটালের মহকুমাশাসক সুমন বিশ্বাস।

advertisement

আর‌ও পড়ুন: ভাঙল ফেয়ার ওয়েদার ব্রিজ, বিপদ মাথায় নিয়ে যাতায়াত

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝুমি নদীর উপর থাকা অস্থায়ী সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করে চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চাশটিরও বেশি গ্রামের মানুষ। কিন্তু নদীর জল বাড়ায় এবং কচুরিপানার চাপে সাঁকো ভেঙে গিয়ে একপ্রকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে সামান্য কিছু নৌকা দিয়ে যাতায়াত শুরু হয়েছে। প্রতিদিন নৌকোয় নদী পারাপার ঝুঁকির হয়ে দাঁড়িয়েছে। বারংবার বিভিন্ন জায়গায় দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে মহকুমা প্রশাসন, ব্লক প্রশাসন এবং স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রশাসনের তরফে সমস্ত কিছুর উপর নজরদারি রাখা হয়েছে।

advertisement

View More

প্রশাসন সূত্রে খবর, বিপদ সীমার নিচেই বইছে জল। তবে নৌকা দিয়ে যাতায়াত যাতে ঠিকমত হয়, মহকুমা প্রশাসনের তরফে স্থানীয় পঞ্চায়েত এবং ব্লক প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নৌকায় যাতায়াতের নিরাপত্তা নিয়েও চিন্তা আছে। প্রসঙ্গত বিদ্যালয়ে চলছে পরীক্ষা। দুই পাড়ের যোগাযোগের জন্য দেওয়া হয়েছে খেয়া। খেয়াতেই পারাপার করছেন মানুষজন।

উল্লেখ্য ২০২১ সালে ঝুমি নদীর উপর ভগবতী সেতু তৈরির কাজ শুরু হলেও এখনও পর্যন্ত তা শেষ হয়নি। দ্রুত সেই কাজ শেষ হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন মহাকুমাশাসক। তবে বিভিন্ন নদীতে জল বাড়ায় ক্রমেই ভয় বাড়ছে ঘাটালের মানুষজনের। গতিবিধির উপর সর্বক্ষণ নজরদারি রেখে চলেছে প্রশাসন।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
বীরভূমে বাড়ছে জৈব সিঁদুরের চাহিদা—কেমিক্যালে অনীহা! রবীন্দ্রনাথের লাগানো গাছে ভরপুর ফল
আরও দেখুন

রঞ্জন চন্দ

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Bamboo Poles: ঘাটালে ফের বন্যার শঙ্কা! ভেঙে গেল একের পর এক বাঁশের সাঁকো, বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল