তাঁর গাওয়া গান আজও প্রাণের আরাম....তাঁর গান, মনে এক চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত...সব মেজাজে, সব ঋতুতে হেমন্ত আজও একইরকম টানে। বাঙালির কাছে হেমন্ত শুধুমাত্র হালকা শীতে চাদর নয়, হেমন্ত বাঙালির কাছে সুরের আদর....
হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের জন্ম বারাণসীতে। তারপর তাঁকে নিয়ে পরিবার চলে আসে জয়নগরের বহড়ু গ্রামে। এখানেই কেটেছে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের ছেলেবেলার রোদ মাখা দিনগুলি। পড়তেন বহড়ু উচ্চবিদ্যালয়ে।
advertisement
বহড়ু গ্রামে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের পৈতৃক বাড়িটির আর কোনও অস্তিত্বই নেই। চারিদিকে শুধু ঝোপঝাড়...মাঝখান দিয়ে সরু রাস্তা ধরে এগোলে পড়ে আছে কতগুলি ইট। এই ইটগুলি যখন চার দেওয়ালের অংশ ছিল, যখন হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের বাড়ির দেওয়াল ছিল, তখন তারা দেখেছে এক তারকার ছোটবেলা। আজ তাদের গায়ে শুধুই অবহেলার ছাপ...সময়ের শ্যাওলা। কেউ মনে রাখেনি।
কয়েক বছর আগে, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের নামে তাঁর ছেলেবেলার স্কুল বহড়ু উচ্চবিদ্যালয়ের একটি ব্লকের নাম রাখা হয়। কিন্তু, ওই পর্যন্তই। হেমন্তের পৈতৃক ভিটেতে আজ আর তাঁর স্মৃতিচিহ্ন বলতে কিছুই নেই। সবই যেন মুছে গেছে। তবু, মুছে যাওয়া দিনগুলি ডাকে। নিয়ে যায় হেমন্তের কাছে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে অর্পণ মণ্ডল