স্থানীয় বাসিন্দা পেশায় অটো চালক বিশ্বজিৎ জানার মাথায় ও দেহে আঘাতের ফলে রক্তের দাগ দগদগে। মাথার পাশে রক্ত মাখা পাথর ও মদের ভাঙা বোতল। পুলিশের অনুমান, পড়ে থাকা ভারী পাথরের আঘাতেই মৃত্যু হয়েছে বিশ্বজিৎ জানার।
আরও পড়ুন- মন্দির খোলা নিয়ম মেনে, কিন্তু তারাপীঠে আগতদের জন্য বড় খবর! না জেনে যাবেন না...
advertisement
স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, বিশ্বজিৎ জানার দেহ দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, তাঁকে মারধর করার ফলেই মৃত্যু হয়েছে। বিশ্বজিৎ জানার বাবার বক্তব্য, তাঁর দেহ থেকে যে ভাবে রক্ত বেরচ্ছিল তাতে একা কোনও ব্যক্তির পক্ষে খুন করা সম্ভব নয়, তাঁকে খুন করেছে অনেকজন মিলে। তাঁর কোনও শত্রুর কাজ এটা।
পুলিশ তদন্ত শুরু করতেই দুপুরের দিকে নোনাডাঙায় পরিস্থিতি বদলে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা হঠাৎ একটি দোকান ভাঙচুর করতে শুরু করে। আনন্দপুর থানার পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দিতে খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায় পুলিশ ও জনতার মধ্যে। উত্তেজিত জনতার বক্তব্য, স্থানীয় বাসিন্দা মঙ্গলের ওই দোকানে অসামাজিক কার্যকলাপের ফলে মৃত্যু হয় বিশ্বজিতের।
আরও পড়ুন- 'ব্যাঙ্কে যাচ্ছি', আর ফিরল না ৩ স্কুল ছাত্রী! চাকদহজুড়ে এখন উধাও-রহস্য-আতঙ্ক
মাঝে মধ্যেই মঙ্গলের ডাকে বিশ্বজিৎ হাজির হত মদ্যপানের আসরে। গতকালও তাঁকে ডাকার পরেই এই ঘটনা। পুলিশের বাধা পেয়ে ফের স্থানীয় আরও একটি দোকানে ভাঙচুর চালায় স্থানীয়রা। কালুর দোকানে অসামাজিক কার্যকলাপের নানা অভিযোগের কথা জানায় উত্তেজিত জনতা।
স্থানীয়রা ক্ষোভে ও রাগে ইট, পাথর ও কাঠ দিয়ে ভাঙচুর শুরু করে। পুলিশ ফের ঘটনাস্থলে এসে উত্তেজিত জনতাকে সামাল দেয়। প্রায় ঘন্টাখানেক পরে পুলিশ উত্তেজিত জনতাকে বোঝাতে সক্ষম হয়। পরে কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড বিভাগ ও পুলিশ কুকুর নিয়ে তদন্ত শুরু করে আনন্দপুর থানা।
অভিযুক্ত মঙ্গল মন্ডলের সন্ধানে পুলিশ তাঁর বাড়িতে পৌঁছাতেই ঘরে তালা দেখে পুলিশ। পরে নোনাডাঙা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে অভিযুক্ত মঙ্গল মন্ডলকে। পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে জানতে পারে বিশ্বজিতের বউয়ের মোবাইল নম্বর জানতে চায় মঙ্গল মন্ডল। সেই দিতে অস্বীকার করতেই বিশ্বজিৎ-কে মারধর করে মঙ্গল মন্ডল। অটোয় বসে মদ্যপানের পরে বিশ্বজিৎকে পাথর ও লোহার রড় দিয়ে মারধর করে মঙ্গল। পুলিশের জেরায় অভিযুক্ত মঙ্গল মন্ডল জানায়, মৃত্যু হবে তা বুঝে উঠতে পারেনি সে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে এই সোমবার আদালতে পেশ করবে পুলিশ। নিজেদের হেফাজতে নিয়ে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা, জানতে চায় পুলিশ।