TRENDING:

West Bengal News|| মায়ের কোল থেকে গণেশকে তুলে নেন নিঃসন্তান দম্পতি! রোমহর্ষক পুজোর রীতি 'এই' শহরে

Last Updated:

Auspicious Ganesh Janami puja: স্বামী ভোলানাথকে সঙ্গে নিয়ে গণেশ জননী উপস্থিত হন শান্তিপুরে। প্রতিবারের মতন এ বারও ধুমধাম করে গণেশ জননীর আরাধনা শুরু হয়েছে শান্তিপুরে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#মৈনাক দেবনাথ, নদিয়া: সাধারণত শারদীয়া দুর্গাপুজো কিংবা বাসন্তী দুর্গাপুজোতেই সপরিবার দুর্গার রূপ লক্ষ্য করে থাকি। কিন্তু মাঘী পূর্ণিমার পরই শান্তিপুরে গণেশ জননীর আরাধনা হয়, যা একটি ব্যতিক্রমী উৎসব বলেই বঙ্গদেশে পরিচিত। স্বামী ভোলানাথকে সঙ্গে নিয়ে গণেশ জননী উপস্থিত হন শান্তিপুরে। প্রতিবারের মতন এ বারও ধুমধাম করে গণেশ জননীর আরাধনা শুরু হয়েছে শান্তিপুরে। এই শান্তিপুর কেবলমাত্র মহাবিষ্ণু অবতার অদ্বৈতাচার্যের পুণ্যভূমি কিংবা তাঁতবস্ত্রের জন্যই বিখ্যাত নয়। এই শান্তিপুর শিল্প, সাহিত্য এবং সংস্কৃতি জগতে এক প্রসিদ্ধ স্থান। শাক্ত-শৈব এবং বৈষ্ণবধারার অভূতপূর্ব মেলবন্ধন লক্ষ্য করা যায় এখানে।
গণেশ জননীর পুজো।
গণেশ জননীর পুজো।
advertisement

প্রসঙ্গত, দুর্গাপুজোয় যেমন বাঙালিরা মেতে ওঠেন, ঠিক তেমনই শান্তিপুরে কাঁসারি পাড়া অঞ্চলের মানুষজন মেতে ওঠেন এই গণেশ জননী পুজোকে কেন্দ্র করে। উল্লেখ্য যে, এই গণেশ জননী পুজোর সূত্রপাত শান্তিপুরের স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের পরিচালিত অন্নপূর্ণা পুজোকে কেন্দ্র করেই। একসময় সাহা পরিবারের সদস্যরা অন্নপূর্ণা পুজোর দায়িত্বভার সুবর্ণ বণিক এবং কংস বণিকদের হাতে তুলে দেন। আর তাঁরা যৌথ উদ্যোগে পুজোর নেতৃত্ব দিতে শুরু করেন।

advertisement

আরও পড়ুন: হেঁসেলে রান্না চড়েছিল! দাউ দাউ করে আগুন লাগল পর পর ৪ বাড়িতে! তারপর যা হল...

প্রচলিত লোককথায়, আনুমানিক দেড়শো বছর আগে অন্নপূর্ণা পুজোর সময় অনুষ্ঠিত এক যাত্রা পালাকে কেন্দ্র করে সুবর্ণ বণিক এবং কংস বণিকের মধ্যে মনোমালিন্য হয়। তাই অন্নপূর্ণা পুজোর তিনদিনের মাথায় কংস বণিক সম্প্রদায়ের মানুষেরা পুজো কমিটি থেকে বেরিয়ে এসে গণেশ জননীর পুজোর প্রচলন করেন। তৎকালীন কংস বণিক সম্প্রদায়ের নিমু দত্ত, ইন্দু দত্ত, মুরারী দত্ত প্রমুখের নেতৃত্বে এই পুজোর সূত্রপাত হয়।

advertisement

আরও পড়ুন: শাসক-বিরোধী তরজা উধাও! পুরভোট যেন উৎসব! প্রার্থীরা আটকে সকলেই 'মৈত্রী'র বন্ধনে

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
হুবহু দক্ষিণেশ্বর মন্দির! বাতিল জিনিস শিল্পীর হাতের জাদুতে শিল্পের রূপ পেল
আরও দেখুন

প্রসঙ্গত, মা অন্নপূর্ণার সঙ্গে গণেশ জননী বিগ্রহের বেশ সাদৃশ্য রয়েছে। এখানেও দেবীর ডানপাশে মহাদেব এবং বামপাশে নারদের অবস্থান। আর গণেশ জননীর ক্ষেত্রে মায়ের কোলে গণেশ বসে রয়েছেন। মোট পাঁচ দিন ধরে চলে মায়ের আরাধনা। যথেষ্ট আড়ম্বরের সঙ্গেই পুজো হয় গণেশ জননীর। পুজো প্রাঙ্গণে যথেষ্ট ভোগের আয়োজন এবং প্রায় পুজোর প্রত্যেক দিনেই কিছু সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মহড়া। শান্তিপুরের বাইরে থেকে শিল্পীরা এসে অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করেন। তবে পুজোর শেষ লগ্নে অর্থাৎ মায়ের পুজোর শেষে গণেশ জননী মাতার কোলে বিরাজমান গণেশকে কোলে নেবার রীতি রয়েছে। যাঁরা নিঃসন্তান দম্পতি রয়েছেন, তাঁরা সন্তান লাভের জন্য পুজোর শেষে গণেশকে নিজের কোলে তুলে নেন। এ ছাড়া প্রতিমা বিসর্জনের দিন শান্তিপুরে নগর পরিক্রমার সঙ্গে আলোক সজ্জা এবং বাজনা-সহ বিগ্রহ নিরঞ্জনের রীতি রয়েছে।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
West Bengal News|| মায়ের কোল থেকে গণেশকে তুলে নেন নিঃসন্তান দম্পতি! রোমহর্ষক পুজোর রীতি 'এই' শহরে
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল