পূর্ব বর্ধমান জেলার রায়না ১ নং ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ও প্রাক্তণ অঞ্চল সভাপতির ওপর হামলার অভিযোগ। হামলার অভিযোগ তৃণমূলেরই একাংশের বিরুদ্ধে। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে চার জনকে আটক করেছে রায়না থানার পুলিশ। গুরুতর জখম অবস্থায় ওই তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকার শান্তিপ্রিয় বাসিন্দাদের আশঙ্কা সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। আবার বোধহয় অশান্তির দিনগুলো ফিরে এল।
advertisement
আরও পড়ুন - Ajker Weather Update: প্যাচপ্যাচে গরমে নাজেহাল, বেলা বাড়লেই তুমুল বৃষ্টি, আজকের ওয়েদার আপডেট
জখম তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর নাম গোলাম মোস্তাফা মল্লিক ওরফে লালো মল্লিক। বাড়ি রায়নার জোৎসাদি গ্রামে।
রায়না ১ নং ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বামদেব মন্ডলের অভিযোগ,গোলাম মোস্তাফা মল্লিক রায়নার হিজলনা অঞ্চলের দীর্ঘদিনের কর্মী।বর্ধমান থেকে বাইকে চেপে ফেরার সময় আচমকাই তাঁর ওপর হামলা চালানো হয়।লাঠি,রড দিয়ে মেরে তাঁর দু পা ভেঙে দেওয়া হয়।যারা মেরেছে তারা আগে সিপিএম করতো।বর্তমানে তারা তৃণমূল করে।পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ, যারা মেরেছে তারা তাঁর হাত ধরে তৃণমূলে যোগদান করে নি।তারা স্বঘোষিত তৃণমূল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন - রাজ্য জুড়ে পালিত "খেলা হবে দিবস", বাম আমলের বঞ্চনায় বিকশিত হতে পারেনি ক্রীড়াক্ষেত্র, ফের তোপ
২০১১- র আগে অশান্তির আর এক নাম হয়ে উঠেছিল বর্ধমানের রায়না। রাজনৈতিক হানাহানিতে সরগরম থাকতো এই এলাকা। বোমাবাজি হয়নি এমন দিন কাটেনি। সন্ধ্যা নামলেই এলাকা শুনশান হয়ে যেত। আতঙ্কে থমথমে থাকতো গোটা এলাকা। কান পাতলেই শোনা যেত পুলিশের ভারি বুটের আওয়াজ। তারপর এক দশক শান্তই ছিল রায়নার হিজলনা, জোৎসাদি। আবার অশান্তিতে তাই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বাসিন্দারা। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ বিধানসভা নির্বাচনের আগে পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা বর্তমান বিধায়ক শম্পা ধারা ও ব্লক সভাপতি রামদেব মন্ডল একসঙ্গে কাজ করলেও বর্তমানে দু গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘাত শুরু হয়েছে। এই ঘটনায় তারই জের। যদিও দুই গোষ্ঠীর দাবি, এলাকায় কোনও গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব নেই।
Saradindu Ghosh