গতকালই দিবানদিঘি মোড়ে সিপিএমের পার্টি অফিস দখল করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে৷ সিপিএমের লাল ঝান্ডা খুলে সেখানে তৃণমূলের পতাকা লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সেই ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক চাপানোতরের মাঝেই ফের নীলপুরে পার্টি অফিসে তালা ছড়ানোর অভিযোগকে কেন্দ্র করে সরবরণ বর্ধমান।
সিপিএম নেতা অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়েরের অভিযোগ, 'গতকাল রাতে এই অফিসে এসে তৃণমূলী দুষ্কৃতীরা তাণ্ডব চালায়। তারা শহিদ বেদিতে ভাঙচুর করে এবং পার্টি অফিসের বাইরে থেকে একটি তালা লাগিয়ে দেয়।'
advertisement
আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে গণনা কারচুপির মামলায় সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা, পিছু হটলেন শুভেন্দু অধিকারী!
তিনি বলেন, ৩১ অগাস্ট সিপিএমের আইন অমান্য আন্দোলনে যে লোক জমায়েত হয়েছিল তাতে তৃণমূল ভয় পেয়ে গিয়েছে। তৃণমূল বিধায়কের হুমকির পরেই তাদের দলের লোকজনরা এই কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছে।
যদিও তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করা হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, 'তৃণমূল এর সঙ্গে কোনও ভাবেই জড়িত নয়। সিপিএমের নিজেদের লোকরাই এই ঘটনা ঘটিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের উপরে মিথ্যে দোষারোপ করছে। জমায়েত দেখে আমাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আগামী তিন অগাস্ট আমাদেরও জমায়েত আছে। শুধু জমায়েত দেখিয়ে লাভ হবে না মানুষ কার পাশে আছে সেটা দেখতে হবে। মানুষ আমাদের সঙ্গেই আছে। সুতরাং এই ধরনের ঘটনা ঘটানোর আমাদের কোনও দরকার হয় না।'
বুধবার বর্ধমানে সিপিএমের আইন অমান্য কর্মসূচি রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল। মিছিল থেকে সরকারি সম্পত্তির ওপর ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। কার্জন গেটে বিশ্ব বাংলার লোগো ভেঙে দেওয়া হয়। হামলা চালানো হয় বিধায়ক সহায়তা কেন্দ্রেও। এই ঘটনার জেরেই সিপিএমের পার্টি অফিস তালা ঝোলানো হয়েছে বলে মনে করছেন এলাকার বাসিন্দারা।