কিডনি পাচার করতে ঋণের ফাঁদ। ঋণ নিয়ে সর্বশান্ত পরিবার। এই সুযোগটাই কাজে লাগিয়েই কিডনি পাচারের অভিযোগ। জানা যায়, গত বছরের মাঝামাঝি অভিযুক্ত শীতল ঘোষের থেকে ৬০ হাজার টাকা ধার নেন অশোকনগরের যুবক। রোজ ৬০০ টাকা করে সুদ দিতেন। এভাবে কয়েক মাসে এক লক্ষ ৩০ হাজার টাকা সুদ দেন বলে দাবি। তারপরেও আসল ৬০ হাজার টাকা বাকি। পেশায় দিনমজুর যুবকের পক্ষে আর টাকা দেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। অভিযোগ, যুবকের অসহায় অবস্থার কথা জানতে পেরে তাঁকে কিডনি বিক্রির টোপ দেয় অভিযুক্ত শীতল।
advertisement
অভিযোগকারীর দাবি, তাঁর স্ত্রী কিডনি বিক্রির জন্য রাজি হন। সুদের ব্যবসায়ী শীতল ঘোষ সব ব্যবস্থা করে দেয়। কলকাতার নামি বেসরকারি হাসাপাতালে যুবকের স্ত্রীর অপারেশনও হয়েছে। কিডনির জন্য সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকায় রফা হয়েছে। অভিযোগ, এই টাকা থেকেও কমিশন চায় শীতল ঘোষ। রাজি না হলেই শুরু হুমকি
অভিযোগ, কিডনি বিক্রির টাকার কমিশন নিয়ে গোলমালের জেরে অশোকনগর থানায় অভিযোগ করেন যুবক। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই শীতল ঘোষকে গ্রেফতার করা হয়। এই কিডনি পাচার চক্রের পিছনে কি বড় কোনও মাথা জড়িত? তদন্তে পুলিশ।
জিয়াউল আলম