স্বাস্থ্যভবনের তরফেও জেলা স্বাস্থ্য প্রশাসনের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করা হয়। স্বাস্থ্যকর্মীদের উপস্থিতিতে একজন অনভিজ্ঞ জনপ্রতিনিধি কীভাবে বেআইনি কাজ করলেন, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয় শাসক দলের অন্দরেও। আসানসোল পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় জানান, 'যে কাজ উনি করেছেন তা এক প্রকার অপরাধ। দলীয় সদস্য হওয়ায় তাঁকে আড়াল করা নয়, ইতিমধ্যেই তাঁকে শোকজ করা হয়েছে। শুধু শো-কজ করাই নয়, যতক্ষণ না পর্যন্ত শোকজের জবাব তিনি দিচ্ছেন এবং আমরা সমস্ত দিক খতিয়ে দেখার পাশাপাশি শোকজের জবাবে সন্তুষ্ট হচ্ছি ততক্ষণ পর্যন্ত ওনাকে পুরসভা সংক্রান্ত সমস্ত কাজ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে'। আজই শেষ হচ্ছে শোকজের জবাব দেওয়ার সময়। এমনকী পুরসভার অফিসেও তাঁকে ঢুকতে নিষেধ করা হয়েছে।
advertisement
নিউজ 18 বাংলা-কে সাক্ষাৎকারে জানালেন অমরনাথবাবু। একদিকে যেমন পুরসভার তরফ থেকে গোটা ঘটনা তদন্ত করা হচ্ছে। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছেন। পাশাপাশি যেহেতু তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য, তাই দলের তরফ থেকেও তাবাসসুম আরার এই 'বেআইনি' কাজে যুক্ত থাকায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ ও অস্বস্তিতে শাসক দল। তৃণমূল সূত্রের খবর, এ ব্যাপারে ইতিমধ্যেই তাবাসসুম আরাকে সতর্ক করা হয়েছে। এই ঘটনায় রং লেগেছে রাজনীতিরও। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের তরফে রবিবার কুলটি থানায় এই বেনজির ঘটনার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
