রবিবার আসানসোল পুরনিগমের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে চলছে উপনির্বাচন। পাশাপাশি বনগাঁতেও এদিন চলছে পুরসভার উপনির্বাচন। আর এই দুই নির্বাচন ঘিরেই মিলেছে অশান্তির খবর। এদিন সকাল থেকেই আসানসোলের ১২ টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের ১৪ টি বুথে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিজেপি প্রার্থী সুদীপ চক্রবর্তীর অভিযোগ, জামুড়িয়ার মণ্ডলপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪২ নম্বর বুথে বিজেপির বুথ এজেন্ট রমেশ দাসকে মারধর করে তাড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। তাঁর অভিযোগ, শাসক দলের দুষ্কৃতীরা বুথ দখলের চেষ্টা করছে'। যদিও বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসক দল।
advertisement
আরও পড়ুন Exclusive: প্রাথমিকে চাকরি দুর্নীতির অডিও টেপ ফাঁস, এবার সরাসরি পার্থ-যোগ?
রবিবার জে কে নগর মোড় এলাকায় বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘড়ুই সহ অন্যান্য বিজেপি কর্মী ও সমর্থকরা ভিড় করলে পুলিশ তাঁদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। এই নিয়েই বিজেপির অভিযোগ, পুলিশ নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। শাসক দলের নেতারা এক জায়গায় জড়ো হয়ে বসে থাকলেও পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। প্রসঙ্গত, এই কেন্দ্রের নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী আসানসোল পুরসভার মেয়র বিধান উপাধ্যায়। বিজেপির প্রার্থী সুদীপ চক্রবর্তী, সিপিএমের প্রার্থী শুভাশিস মণ্ডল ও কংগ্রেসের প্রার্থী সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়।
আসানসোল পুরভোটে ৬ নম্বর ওয়ার্ডে জিতেছিলেন তৃণমূলের সঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধান উপাধ্যায়কে মেয়র করা হলেও তিনি কোনও ওয়ার্ড থেকে না জিতেই যেহেতু মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন, তাই দলের নির্দেশে ৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে পদত্যাগ করেন সঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই প্রার্থী করা হয় বিধান উপাধ্যায়কে। সেই কারণেই উপনির্বাচন। যে নির্বাচনকে ঘিরেই অশান্তির খবর। শাসক দলের সন্ত্রাস, বুথ জ্যাম রিগিং , দলীয় কর্মীকে মারধর করে বুথ থেকে বের করে দেওয়া সহ একাধিক অভিযোগ নিয়ে সরব হয়ে আন্দোলনের পথে নেমেছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব ও কর্মী- সমর্থকরা।