দিনকয়েক আগেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন আলিপুরদুয়ারের জেলা বিজেপি সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা। যে কারণে বিজেপির সংগঠনে বড়সড় ধাক্কা লেগেছে। তাঁর হাত ধরে বিজেপির সংগঠনে বড় ধস নামার আশঙ্কা রয়েছে। এবার আসানসোলের জেলা সম্পাদক সদলবলে তৃণমূলে যোগ দিতে চলায় বাবুল সুপ্রিয়র সংসদীয় এলাকায় বিরাট ক্ষতির মুখে পড়তে পারে গেরুয়া শিবির।
advertisement
আসানসোল রবীন্দ্রভবনে তৃণমূল ‘যোগদান’ মেলার আয়োজন করেছে। যে মেলার মূল উদ্যোক্তা রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা মলয় ঘটক। সেখানেই মদনমোহন চৌবেদের যোগদান হবে বলে গুঞ্জন। একইসঙ্গে তৃণমূলের পতাকা তুলে নিতে চলেছেন গেরুয়াশিবিরের প্রায় ৪০০ নেতা এবং কর্মী।
কিন্তু কেন দলবদল? মন ভেঙে যাওয়ার কথা বলেছেন মদনমোহন। ২০১১ সালে আসানসোল উত্তর কেন্দ্র থেকে বিজেপি-র প্রার্থী হয়েছিলেন মদনমোহন। কিন্তু সেই বার হারের পর আর টিকিট দেওয়া হয়নি তাঁকে। এবারের নির্বাচনের আগে তিনি নিজেও ভেবেছিলেন দল টিকিট দেবে। কিন্তু তা বাস্তবে হয়নি। তাঁর মতে, এমন সব ব্যক্তিদের টিকিট দিয়েছিল দল, তার বদলে দলের এক কর্মী দাঁড়ালে অনেক ভালো ফল হত। অর্থাৎ, টিকিট না পাওয়া ও দলীয় নেতৃত্বের প্রতি ক্ষোভ থেকেই এমন সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন মদনমোহন, এমনটাই মনে করা হচ্ছে। তাঁর আরও অভিযোগ, 'ভাবতে পারিনি নিজের দল তার আদর্শ থেকে সরে যাবে এবং দুর্নীতি করবে। দল করার মানসিকতা আর নেই। এই দুর্নীতিতে কারা জড়িত সে খবর আপনারা কিছু দিন বাদে পেয়ে যাবেন। বড়, ছোট সব নেতাই এর সঙ্গে জড়িত।'
সূত্রের খবর, বেশ কয়েকজন ব্লক প্রেসিডেন্ট, এক চিকিৎসক নেতা, প্রাক্তন কাউন্সিলররাও তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন। তৃণমূলের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে যদিও এখনও কিছু বলা হয়নি। ব্লক ১ সভাপতি গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'আজ রবীন্দ্রভবনে আসুন, তখনই সব কিছু প্রকাশ্যে দেখতে পাবেন।'
