সোশ্যাল মিডিয়ায় বাবুল লিখেছেন, 'হ্যাঁ, আজ আসানসোলে কিছু বিজেপি 'সহকর্মী' দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছে ! অত্যন্ত 'আনন্দিত' হয়ে আনন্দবাজার ‘ভাঙ্গনের' হেডিংও করেছে ! No Poblemo !! আমি এটুকুই বলবো যে, যারা একসময় সাথে ছিলো তারা আজ তাদের নিজেদের মর্জি/ইচ্ছা/বিবেক অনুযায়ী দল ছেড়েছে বলে তাদের 'ছোট নেতা - চুনোপুটি - গদ্দার' ও বলবো না আবার 'কিছু এসে যায় না'-র মতো মন্তব্যও করবো না || তোমাদের সঙ্গেও ভালো ছিলাম - তোমাদের 'বিপক্ষ' হিসেবেও আমরা ভালো থাকবো, এটাই বলবো !!' (বানান অপরিবর্তীত)
advertisement
কিন্তু এখানেই থেমে থাকেননি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। নিজেদের দলের সাংগঠনিক দুর্বলতা খোঁজার পরিবর্তে বাবুল সুপ্রিয় দলত্যাগীদের কার্যত লোভী আখ্যা দিয়েছেন। সিন্ডিকেট-তোলাবাজির জন্যই এই দলত্যাগ বলে দাবি করেছেন তিনি। ফেসবুকে লিখেছেন, 'আসানসোলের তৃণমূলী নেতা-মন্ত্রীরা তোমাদের আশানরুপ এলাকায় 'সিন্ডিকেট-তোলাবাজির''সুযোগ করে দিয়ে তোমাদের ভালো রাখবে এই কামনা করি ! (Pun absolutely intended)' (বানান অপরিবর্তীত)
যদিও সিন্ডিকেট নয়, বরং বিজেপিতে মন ভেঙে যাওয়ার কথা বলেছেন মদনমোহন চৌবেরা। ২০১১ সালে আসানসোল উত্তর কেন্দ্র থেকে বিজেপি-র প্রার্থী হয়েছিলেন মদনমোহন। কিন্তু সেই বার হারের পর আর টিকিট দেওয়া হয়নি তাঁকে। এবারের নির্বাচনের আগে তিনি নিজেও ভেবেছিলেন দল টিকিট দেবে। কিন্তু তা হয়নি। তাঁর মতে, এমন সব ব্যক্তিদের টিকিট দিয়েছিল দল, তার পরিবর্তে দলের কর্মীদের দাঁড় করালে অনেক ভালো ফল হত। একই সঙ্গে দলের নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগও তুলেছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, 'ভাবতে পারিনি নিজের দল তার আদর্শ থেকে সরে যাবে এবং দুর্নীতি করবে। দল করার মানসিকতা আর নেই। এই দুর্নীতিতে কারা জড়িত সে খবর আপনারা কিছু দিন বাদে পেয়ে যাবেন। বড়, ছোট সব নেতাই এর সঙ্গে জড়িত।'
