আসানসোলের বালিজুড়ির মন জুড়ে আজও রয়েছে দুই ভাই। সময়ের সঙ্গে বালিজুড়ি ছেড়ে কোলিয়ারির কোয়ার্টার, সেখান থেকে কলকাতা। কখনও বালিজুড়ি বুকের কোণ থেকে সরেনি। বালিজুড়িও তাঁদের সরায়নি মন থেকে। গ্রামের বাসিন্দা বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায় বলছিলেন উনি আমাদের গর্ব। করোনা, ইয়াস কোনও পরিস্থিতিতেই উনি হাল ছাড়েননি। সততার সঙ্গে কাজ করে গিয়েছেন। গ্রামের আরেক বাসিন্দা উদয় মুখোপাধ্য়ায় বলছিলেন, আমরা আর কিছু চাই না, চাই দাদা এই রাজ্যেই থাকুক। তাঁর এক আত্মীয় প্রশান্ত মুখোপাধ্যায় বলছিলেন, আমরা মনে করি ও একজন সৎ আমলা। আমরা মনে করি ওকে ওঁর কাজটা করতে দেওয়া উচিত। সর্বক্ষণ ছুটে বেড়ায় ও।
advertisement
কালিপুজোয় এখনও গ্রামে যান আলাপন। মুক্তকেশীর মন্দিরের পুজোয় রাত জাগেন। কেউ কেউ স্মৃতিতাড়িত হয়ে বলেন এই দুঁদে আমলা আর তার ভাইই একদিন নেচে নেচে নজরুলের কবিতা লিচুচোর শুনিয়েছে গ্রামের কোণও দাওয়ায়। সেই স্মৃতিই লেগে আছে গ্রামের ধূলিকনায়। গ্রামের মানুষ তাই সোমবার গোটা দিনটা কাটিয়েছে টিভির সামনে। চেয়েছেন রাজ্যে না ছাড়ুক প্রিয়জন।
আলাপন অবশ্য আমলাজীবনের ইতি টেনেছেন। আপোস করেননি। আর মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় তাঁর ছায়াসঙ্গীকে অবসর নিলেও দূরে যেতে দেননি। নাটকীয় ভাবে সোমবারই মুখ্য উপদেষ্টার পদে তাঁকে আসীন করে কার্যত এক নতুন যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সংঘাত কোথায় শেষ কেউ জানে না। তবে বালিজুড়ি জিতে গেছে, টুমনির চড়ে আজ খেলে যাচ্ছে রোদের হাসি।