ঝোপঝাড়ে ঢাকা পড়েছে পৈতৃক দালান। একপাশে তবুও বাড়ির কিছু কিছু অংশ মুখ তুলে দাঁড়ানোর আপ্রাণ চেষ্টায়। এখানে মুছে যাওয়া দিনগুলো বারবার পিছু ডাকে..
দক্ষিণ ২৪ পরগনার বহড়ুর দক্ষিণ পাড়া। মুখার্জি বাড়ি বলতে এতটুকুই বেঁচে আছে। এখানে শীত গ্রীষ্ম বর্ষা সবসময়ই হেমন্ত। শরতেও এখানে হেমন্তের গুনগুন..
বহড়ু হেমন্ত মুখোপাধ্যায়কে পেয়েছে ঘরের ছেলে করে। এই গ্রামেই তো হেমন্তের পৈতৃক ভিটে। বাড়িটা বেঁচে আছে অস্তিত্বের লড়াইয়ে। তাতে অবশ্য গৌরব কমেনি গ্রামের। পেঁজা তুলোর মেঘে, আকাশে বাতাসে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় জড়িয়ে আছেন। পারিবারিক দোলমঞ্চ থেকে ঠাকুরঘর, সব মলিন ঢেকে উজ্জ্বল হেমন্ত মুখোপাধ্যায়। পথ চাওয়াতেই আনন্দ পায় হেমন্তের গ্রাম।
advertisement
মামার বাড়ি বারাণসীতে। সেখানেই জন্মেছিলেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায়। পড়াশোনা, বড় হওয়া কলকাতায়। তবে পৈতৃক ভিটেকে কখনও ভোলেননি কিংবদন্তী শিল্পী। জীবনের শেষদিন পর্যন্ত মনে করতেন গ্রামের কথা। মাঝেমাঝেই আসতেন। পাত পেড়ে খেতেন। গ্রামের মানুষ আজও হেমন্ত মুখোপাধ্যায়কে ভোলেননি।
পুজো এসেছে। এবছর আবার হেমন্তের জন্ম শতবর্ষ। দুই আনন্দ একসঙ্গে মিলেমিশে একাকার। হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের স্মৃতিতে তাঁর মূ্র্তি তৈরির দাবি জানিয়েছে বহড়ু।