এইসব মুখোশ আসে পুরুলিয়ার বাগমুন্ডির চড়িদা গ্রাম থেকে। এই গ্রামের ঘরে ঘরে এখন জোর কদমে মুখোশ তৈরির কাজ চলছে। ছোট বড় নানা আকারের মুখোশ। যেমন আয়তন তেমন দাম। বাঘমুন্ডি অযোধ্যা পাহাড় গিয়ে চড়িদার মুখোশ কেনেননি এমন বাঙালি ভ্রমণার্থী পাওয়া ভার।
পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ের নীচে ছোট্টো গ্রাম চড়িদা। বাগমুন্ডি বাজার থেকে তিন কিলোমিটার গেলেই আপনি পৌঁছে যাবেন এই গ্রামে। গোটা রাজ্য যখন দুর্গা পূজাকে ঘিরে আনন্দ মুখর তখন দিন রাত এক করে মুখোশ তৈরি করে চলেছেন শিল্পীরা। এই গ্রামে দুশোর ওপর মুখোশ শিল্পী রয়েছেন। অযোধ্যা পাহাড়ে বেড়াতে আসা পর্যটকরা মূলত এখানের ক্রেতা।এছাড়াও বিভিন্ন মেলা উৎসব পসরা সাজান শিল্পীরা। পুজোর সময় ভালো বরাত আসে। চৈত্র সংক্রান্তিতে শিবের গানের সময়ও মুখোশের চাহিদা বাড়ে।
advertisement
আরও পড়ুন: Gold Price Today: ফের কলকাতায় সোনার দামে ধস! হাজার হাজার টাকা সস্তা
কিন্তু ধরাবাঁধা সেই পরিস্থিতি একেবারেই ওলট-পালট করে দিয়েছিল করোনা। শিল্পীরা বলছিলেন, ওই সময়টা বিক্রিবাটা একেবারেই বন্ধ ছিল। তবে সেসব এখন অতীত। ফের নতুন করে বাঁচতে শুরু করেছে চড়িদা। তাদের জীবন এই মুখোশ শিল্পকে আঁকড়ে ধরেই। এবার পুজোয় অযোধ্যা পাহাড়ে পর্যটকদের ঢল নামবে। বিক্রি অনেকটাই বাড়বে মুখোশের-সেই আশায় দুর্গার মুখ এঁকে চলেছে পুরুলিয়ার চড়িদা গ্রাম।
শিল্পীরা জানালেন, এক একটি পুজোর প্যান্ডেলের জন্য অনেক মুখোশ লাগে। তাই পুজোর ৩-৪ মাস আগেই জোর কদমে কাজ শুরু হয়ে যায় মন্ডপ সজ্জার সে সব মুখোশ পৌঁছে গিয়েছে। এখন বড় ভরসা অযোধ্যা পাহাড়ে বেড়াতে আসা পর্যটকরা। তাদের বেশিরভাগই এই গ্রামে আসেন মুখোশ কিনে বাড়ি ফেরেন। এছাড়াও রাজ্যের বিভিন্ন মেলার স্টলে মুখোশ পাঠানো হয়।
Saradindu Ghosh