ভরা সভায় পুলিশকে লক্ষ করে বোমা মারার অভিযোগ ওঠার পরও রেহাই পেলেন অনুব্রত মণ্ডল। ২০১৩- পঞ্চায়েত ভোটের আগে সতেরোই জুলাই, পাড়ুইয়ের বাঁধনবগ্রামের সভায় পুলিশকে লক্ষ করে বোমা মারার নিদান দেন জেলা তৃণমূল সভাপতি।
অনুব্রতর অব্যাহতি
- অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে পুলিশকে অভিযোগ দায়েরের নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন
- ২৬ জুলাই ২০১৩ - পাড়ুই থানায় অভিযোগ দায়ের পুলিশ সুপারের
advertisement
- পাঁচ পুলিশকর্মীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়
- সিএফএসএল-এ পাঠানোর হয় অনুব্রতর বক্তব্যের সিডি
- ২৪ জুন ২০১৫ - সিউড়ি সিজেএম আদালতে চার্জশিট পেশ
- যদিও অনুব্রত মণ্ডলকে দোষী প্রমাণের কোনও তথ্য ছিল না চার্জশিটে
- (গত) ৩০ নভেম্বর ২০১৬ - আদালতে পেশ অনুব্রতর বক্তৃতার সিডি ও সিএফএসএল-এর রিপোর্ট
এরপরও তদন্তে ঘাটতির অভিযোগ তোলেন বিচারক। তিনি জানান, সিএফএসএল-এ তৃণমূল নেতার বক্তৃতার অংশ পাঠানো হলেও, তাঁর মাস্টার ভয়েস পাঠানো হয়নি। ফলে অনুব্রত মণ্ডলই পুলিশকে বোমা মারার হুমকি দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ, তা প্রমাণিত হয়নি।
আদালতে অব্যাহতি মিললেও অনুব্রত মণ্ডলের সাফাই, তিনি যদি পুলিশের বিরুদ্ধে কিছু বলেও থাকেন, তা শুধুই স্লিপ অফ টাং।
তৃণমূল নেতার অব্যাহতি মেলায় পুলিশকেই দুষছে বিরোধীরা। তাঁদের অভিযোগ, তদন্তে গাফিলতি থাকায়, পুলিশকে বোমা মারার হুমকি দিয়েও রেহাই পেয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল।