দিন সাতেক আগে একটি অডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার৷ সেই অডিও ক্লিপে অনুব্রত মণ্ডলকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করতে শোনা যায় বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারকে৷ শুধু লিটন নয়, তাঁর পরিবারকেও আক্রমণ করেন অনুব্রত৷
অডিও ভাইরাল হওয়ার পরেই অবশ্য তৃণমূল নেতৃত্বের কাছ থেকে আসে স্পষ্ট নির্দেশ৷ চার ঘণ্টার মধ্যেই ‘নিঃশর্ত ক্ষমা’ চাইতে হবে অনুব্রতকে৷ নাহলেই করা হবে পদক্ষেপ৷ তারপরেই চিঠি লিখে ‘ক্ষমা’ চান কেষ্ট৷ দাবি করেন, তিনি নানা রকমের ওষুধ খান, তাই ওইসব বলে ফেলেছেন৷
advertisement
আরও পড়ুন: ক্ষমা চাইতেই হল অনুব্রত মণ্ডলকে! IC-কে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ…বললেন, ‘নানা ওষুধ খাই!’
কুকথা কাণ্ডে দল থেকে তো বটেই পুলিশের তরফ থেকেও পাঠানো হয় নোটিস৷ গত শনিবার এসডিপিও-র (বোলপুর) দফতরে হাজিরার নোটিস পাঠানো হয় অনুব্রতকে। সেদিন তিনি হাজিরা এড়িয়ে যাওয়ায় রবিবার বেলা ১১টায় ফের তাঁকে দ্বিতীয় নোটিস পাঠানো হয়৷
রবিবার তাঁর বদলে এসডিপিও অফিসে যান তাঁর ঘনিষ্ঠ কয়েকজন ও আইনজীবী৷ তাঁরা জানান, অনুব্রত ‘অসুস্থ’ তাঁকে ৫ দিন ‘বেড রেস্ট’ দিয়েছেন চিকিৎসক৷ তারপর, আজ, বৃহস্পতিবার অনুব্রত হাজির হলেন এসডিপিও অফিসে৷
আরও পড়ুন : IC-কে কদর্য ভাষা! অডিও কাণ্ডে ৪ ঘণ্টার মধ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে অনুব্রতকে…নাহলে
জানা গিয়েছে, অনুব্রতর বিরুদ্ধে ২টি জামিন অযোগ্য সহ ৪টি ধারায় মামলা করা হয়েছে৷ তাঁকে ফোন নিয়ে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল৷ আইনজীবী ও ফোন নিয়ে এদিন হাজিরা দিয়েছেন কেষ্ট৷ ওই অডিওতে তিনিই কথা বলেছেন কি না, নাহলে ওটা কার গলা, কে কখন ফোন করেছেন, এই সবকিছু খতিয়ে দেখছে পুলিশ৷