ইতিমধ্য়েই আদালত থেকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে। অনুব্রতর নিরাপত্তায় যাতে কোনও ঘাটতি না হয়, সে বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য় এ দিন আদালতেও আর্জি জানান সরকারি আইনজীবী।
আরও পড়ুন: অনুব্রতর সাত দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ, জামিনের আবেদনই করলেন না কেষ্টর আইনজীবীরা
গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য় গতকালই ইডি-কে অনুমতি দিয়েছিল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। কিন্তু দিল্লির আদালতের সেই নির্দেশের কপি ইডি-র হাতে আসার আগে আজ সকালে তড়িঘড়ি অনুব্রত মণ্ডলকে আসানসোল জেল থেকে বের করে দুবরাজপুর আদালতে পেশ করে পুলিস। ২০২১ সালে এক তৃণমূলকর্মীকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে দায়ের হওযায় মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে হেফাজতে চায় পুলিস। অনুব্রতর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য় ধারায় খুনে চেষ্টার অভিযোগও আনা হয়। পুলিস ১৪ দিনের জন্য় অনুব্রত মণ্ডলকে হেফাজতে চাইলেও সাত দিনের জন্য় অনুব্রতকে পুলিস হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
advertisement
ইডি সূত্রে খবর, দুবরাজপুর আদালতের নির্দেশের পর পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নিয়েও পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সের ইডি দফতরে একটি বৈঠকও ডাকা হয়েছে আজ। অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যেতে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, ওই বৈঠকেই একাধিক সিনিয়র আইনজীবীদের থেকে সেই পরামর্শ নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: অনুব্রতকে হেফাজতে পেতে হঠাৎ তৎপর পুলিস, আজই আদালতে পেশ! দিল্লি যাত্রা আটকানোর চেষ্টা, অভিযোগ বিরোধীদের
আদালতের এই নির্দেশের পরই অনুব্রতকে দুবরাজপুর থানায় নিয়ে আসা হয়। আদালতের এই নির্দেশের পরে আপাতত সাত দিন অনুব্রতকে আর ইডি দিল্লি নিয়ে যেতে পারবে না বলেই খবর। সাত দিন পুলিস হেফাজতে দুবরাজপুর থানায় থাকার পর আগামী ২৭ ডিসেম্বর ফের তৃণমূল নেতাকে দুবরাজপুর আদালতে তোলা হবে। মনে করা হচ্ছে, ওই দিনই দুবরাজপুর আদালতে ইডি-র পক্ষ থেকে অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি জানানো হতে পারে।
প্রায় চার মাস পর এ দিন অনুব্রত মণ্ডলকে বীরভূমে আনা হল। অনুব্রতকে দেখতে আদালত এবং থানা চত্বরে ভিড় করেছিলেন প্রচুর তৃণমূল নেতা, কর্মী এবং সাধারণ মানুষ। ফলে গোটা থানা চত্বরই কড়া নিরাপত্তা ব্য়বস্থায় মুড়ে ফেলা হয়েছে। নিরাপত্তায় রাখা হয়েছে কমব্য়াট ফোর্স।
অনুব্রতর দিল্লি যাত্রা আটকাতেই পুলিশের এই তৎপরতা বলে অভিযোগ করছেন বিরোধীরা। এ দিন আদালতে তোলা হলে অনুব্রতর জামিনের জন্য় তাঁর আইনজীবীরাও কোনও আবেদন করেননি। আইনজীবীদের একাংশও মনে করছেন, পুলিশের এই অতি সক্রিয়তার বিষয়টি উচ্চ আদালতও ভবিষ্য়তে ভাল ভাবে নেবে না। আইনজীবী জয়ন্তনারায়ণ চট্টোপাধ্য়ায় বলেন, 'আমরা সবাই জানি যে রাউস অ্য়াভিনিউ কোর্ট অনুব্রত মণ্ডলকে নির্দেশ দিয়েছে। হয়তো সাত দিন পুলিস হেফাজত পাওয়ার জন্য় ইডি ওনাকে দিল্লি নিয়ে যেতে পারল না, কিন্তু পরে এই বিষয়টিই না ওনার কাল হয়ে যায়।'
