এদিন বাড়িতে ঢুকেই ভিতরে অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন সিবিআই তদন্তকারীরা। বাইরে থেকে বন্ধ করা হয় বাড়ির গেট। তৃণমূল জেলা সভাপতির নিরাপত্তা রক্ষীদের সরিয়ে নিচুপট্টি এলাকার দখল নেয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। গরুপাচার মামলায় ১০ বার অনুব্রতকে তলব করে সিবিআই। কিন্তু মাত্র একবার হাজিরা দেন তৃণমূল জেলা সভাপতি। অসুস্থতার কথা বলে গতকালও হাজিরা এড়িয়ে যান অনুব্রত। শারীরিক সমস্যার কারণে ১৪ দিনের জন্য ফের সময় চেয় নেন।
advertisement
আরও পড়ুন: অনুব্রতর আইনজীবীর দাবি, 'এখনও গ্রেফতার নয়'! সিবিআই সূত্র বলছে, 'আর ছাড় নয়'
মঙ্গলবার সকালে অনুব্রত মণ্ডলকে বেড রেস্ট নিতে পরামর্শ দেওয়ার পর চিকিৎসক হিসেবে তাঁর সততা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল৷ কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মুখ খুলে অবশ্য বোলপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী দাবি করেন, তাঁকে দিয়ে এক রকম জোর করে সাদা কাগজেই অনুব্রত মণ্ডলের জন্য বেড রেস্টের পরামর্শ লিখিয়ে নেওয়া হয়েছিল৷ সেই চিকিৎসকের বয়ান রেকর্ড করবে সিবিআই।
আরও পড়ুন: নোটিশের ধারাতেই সব স্পষ্ট করল সিবিআই! অনুব্রতর পরিণতিতে তোলপাড় তৃণমূলে
সিবিআই সূত্রে খবর, অনুব্রত মণ্ডলের নিরাপত্তারক্ষী সায়গল হোসেনের থেকে একাধিক তথ্য মিলেছিল অনুব্রতর বিরুদ্ধে। আগেই বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে বিপুল তথ্য পেয়েছিল সিবিআই এবং জিজ্ঞাসাবাদে অনুব্রত মণ্ডলের নাম বলেছিল সায়গল। সেই কারণেই আসানসোল আদালতে সিবিআই যে চার্জশিট পেশ করে, তাতেও নাম ছিল অনুব্রতর। প্রসঙ্গত, এত দিন ১৬০ crpc-তে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল অনুব্রতকে। আজ 41A তে নোটিশ দিয়ে অনুব্রতকে অভিযুক্ত হিসেবে নোটিশ দিয়ে নিয়ে গিয়েছে সিবিআই।