রামপুরহাটের ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। সেই ঘটনাতেও বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের নাম বারবার আনছেন বিরোধীরা। এই পরিস্থিতিতে বড় ধাক্কা খেলেন অনুব্রত। তবে, অন্য একটি মামলায়। গরুপাচার মামলায় এ বার বড় বিপাকে অনুব্রত মণ্ডল। ওই ঘটনাতেও তদন্ত করছে সিবিআই। আর সিবিআই জেরার থেকে বাঁচতে বারবার আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন অনুব্রত। শেষমেশ তিনি দ্বারস্থ হয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। কিন্তু রক্ষাকবচের জন্য অনুব্রতর করা আবেদন খারিজ করে দেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ৷
advertisement
আরও পড়ুন: কোন পথে বিজেপি-র বিরুদ্ধে লড়াই, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিঠিতে পড়ল শোরগোল
প্রসঙ্গত, বারবার সিবিআই তলব সত্বেও তা এড়িয়ে গিয়েছেন বীরভূমের ডাকাবুকো নেতা। শেষমেশ ১৫ মার্চ নিজামে তলব অনুব্রত মণ্ডলকে তলব করে সিবিআই। সিবিআইইয়ের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদনও খারিজ করেছিল আদালত। যেহেতু তাঁকে হাওড়া-সহ বিভিন্ন জায়গায় দেখা গিয়েছে, তাই গৃহবন্দী থাকার মতো শারীরিক অবস্থা তাঁর নয় বলেই প্রাথমিকভাবে মনে করেছিল আদালত। সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে গত ১৪ মার্চ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে দ্বারস্থ হন অনুব্রত।
আরও পড়ুন: মালদহে অবহেলায় পড়ে ৪০০ বছর পুরনো মূর্তি, সংরক্ষণের দাবি পুরাতত্ত্ববিদদের
শুনানিতে তার আইনজীবীরা জানান, ভবিষ্যতে সিবিআই ডেকে পাঠালেও যেন তাঁকে রক্ষাকবচ দেওয়া হয়। কিন্তু সেই রক্ষাকবচ দিল না প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। স্বভাবতই আরও বিপাকে অনুব্রত। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার থেকে শুরু করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কথায়, 'রামপুরহাটের গণহত্যার মাথা অনুব্রত। এমনকী গরু পাচার থেকে শুরু করে কয়লা কাণ্ডে শাসকদলের কেউই ছাড় পাবে না। আর মাত্র কয়েকটা দিন অপেক্ষা করুন। দুধ কা দুধ পানি কা পানি হয়ে যাবে'।
Venkateswar Lahiri