কিছুদিন আগে জেলা সফরে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাজল শেখকে কোর কমিটির সদস্য হিসাবে দায়িত্ব দিয়েছেন। তারপর থেকেই বিভিন্ন বিষয়ে মন্তব্য করতে দেখা যাচ্ছে কাজল শেখকে। যা দলের বিড়ম্বনা বাড়াচ্ছে।
তবে কাজল শেখের গুরুত্ব যে দলের মধ্যে বাড়ছে, তা বেশ কিছুদিন ধরেই স্পষ্ট হচ্ছিল। এমনকি পঞ্চায়েত ভোটের আগে বগটুই নিয়ে তাকে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। সেখানেও কাজল শেখ দায়িত্ব নিয়ে ভাল ফল করেন।
advertisement
আরও পড়ুন: আগেও র্যাগিং! যাদবপুরের ঘটনায় হাইকোর্টে মারাত্মক দাবি, সোমবার পরবর্তী শুনানি
বীরভূম জেলা পরিষদ এককভাবে দখল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ৫২টি সিটের মধ্যে মাত্র একটিতে জয়লাভ করতে পেরেছে বিরোধীরা।
যদিও জেলা পরিষদে জয়লাভের পর কাজল শেখের মুখে অনুব্রত মণ্ডলের নাম শোনা গেলেও অনুব্রত মণ্ডলের বিরোধী হিসেবেই পরিচিত থাকা কাজল শেখ সভাধিপতি পদে বসার পর, বীরভূম জেলা থেকে কি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে অনুব্রত মণ্ডল গোষ্ঠী? এমনই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে।
আরও পড়ুন: চা খাইয়ে সৌরভই নিয়ে গিয়েছিল সিনিয়রদের ঘরে, তার পরে ৬ জন মিলে তিন ঘণ্টা টানা ‘নির্যাতন’?
রাজনৈতিক মহলের নজরে রয়েছে দীর্ঘদিন কারবাসে থাকা অনুব্রত মণ্ডল। জেলা সামলানোর দায়িত্ব নিয়েছেন একাধিক নেতা। বিশেষ করে কোর কমিটির সদস্যরা৷ যদিও পঞ্চায়েত ভোটের ফল দেখার পরে অনেকে আবার বলছেন অনুব্রত মণ্ডলের প্রভাব জেলায় এখনও রয়েছে৷ তবে এই প্রভাব আদৌ বজায় থাকবে কিনা, বিশেষ করে লোকসভা ভোটের আগে যখন কড়া রাজনৈতিক লড়াই চলছে। এই অবস্থায় কি বদল হবে জেলা সভাপতি? প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে বীরভূমের রাজনৈতিক মহলে।
একটা সময়ে জেলার রাজনীতিতে যিনি কেষ্ট-বিরোধী শিবিরের নেতা হিসাবেই পরিচিত ছিলেন, সেই কাজল শেখের গুরুত্ব বৃদ্ধিতে জল্পনা বাড়ছে। যদিও কাজল সেটা মানতে চান না। ভোটে জেতার পর তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, অনুব্রত তাঁর রাজনৈতিক গুরু। বলেন, ”ওঁর দেখানো পথেই ভোটে লড়েছি, আর জয় এসেছে।”