প্রতি বছরই বীরভূমের নানুরের হাটসোরান্দিতে অনুব্রতর গ্রামের বাড়িতে দুর্গাপুজো হয়। এবারও হচ্ছে। শুধু বাড়ির মেজ ছেলে কেষ্ট রয়েছেন নানুর থেকে শ-খানেক কিলোমিটার দূরে আসানসোলের বিশেষ সংশোধনাগারে। স্ত্রী ছবি মণ্ডলের মৃত্যুর পর এই প্রথম পুজোর সময় বাড়ি ও মেয়ে সুকন্যাকে ছেড়ে জেলে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই মন ভাল নেই তাঁর। পরিবারের লোকেরা এসে দেখা করে যান অনুব্রতর সঙ্গে। কিন্তু পুজোয় অনুব্রতর নতুন পোশাক হয়েছে কিনা তা জানা যায়নি।
advertisement
আরও পড়ুন: তৈরি হচ্ছে ঘূর্ণাবর্ত, হবে ঝেঁপে বৃষ্টি! কলকাতা-সহ গোটা রাজ্যের পুজো মাটি হওয়ার আশঙ্কা
সাধারণত জেলে সকাল ৯ টায় ঘুম ভাঙে অনুব্রত মণ্ডলের। তবে মহালয়াতে না কি দিনের আলো ফোটার আগেই উঠে পড়েন তিনি। সংশোধনাগার সূত্রে জানা গিয়েছে, যে কোনও বিশেষ দিনে আবাসিকদের জন্য একটু আলাদা ব্যবস্থা রাখা হয়। মহালয়ার ভোরে প্রতি বছর আবাসিকদের রেডিওতে 'মহিষাসুরমর্দ্দিনী' শোনানো হয়। অনুব্রত মণ্ডল এদিন সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেই স্নান সেরে মহালয়া শোনায় মন দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: ভেসে বেড়ান বন্দরের ইতিহাস দেখতে দেখতে, নিয়ে যাবে 'দি বেঙ্গল প্যাডেল'
সংশোধনাগারে অনুব্রত মণ্ডল ছাড়াও এই মুহূর্তে রয়েছেন অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন, হালিশহর পুরসভার চেয়ারম্যান রাজু সাহানি, ইসিএলের আট শীর্ষ আধিকারিকও। জেল সূত্রে খবর, পুজোর জন্য বিশেষ পদের আয়োজনও রাখা হয়েছে জেলে। তবে অনুব্রতর আবদার রয়েছে দেশি মুরগির ঝোল ও পুকুরের ছোট মাছের। এই মন খারাপে সে সবে মন ভাল হবে কি না কেষ্টর, তা অবশ্য জানতে সময়ের অপেক্ষা।