যদিও ক্ষমা চাইলেও এখনই পার পাচ্ছেন না তৃণমূল নেতা৷ আগামিকাল তাঁকে বোলপুর থানায় তলব করা হয়েছে৷ অনুব্রতর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করেছে বীরভূম জেলা পুলিশ৷ তার মধ্যে যৌন হেনস্থা, সরকারি কর্মচারীকে হুমকি, হেনস্থার মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে৷
আরও পড়ুন: অনুব্রতকে থানায় তলব! তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে কোন কোন ধারায় মামলা করল পুলিশ?
advertisement
আজই বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারকে ফোনে অনুব্রত মণ্ডলের হুমকি এবং গালিগালাজের এই অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়৷ ওই পুলিশ আধিরাকিককে হুমকির পাশাপাশি তাঁর স্ত্রী এবং মাকে জড়িয়েও কুরুচিকর মন্তব্য করতে শোনা যায় অনুব্রতকে৷ এই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরই চার ঘণ্টার মধ্যে অনুব্রতকে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দেয় তৃণমূল কংগ্রেস৷
https://youtu.be/lbDYfqSaViA?si=Oe5OhXi4Q9FtGd_w
এর পরই দলকে চিঠি লিখে ক্ষমা চান অনুব্রত৷ ভিডিও বার্তা দিয়েও ক্ষমা চান তৃণমূল নেতা৷ অনুব্রত বলেন, ‘পুলিশের যে সব বড়কর্তারা আছেন সবাই দিদিকে ভালবাসেন৷ পুলিশকে আমি প্রচণ্ড সাহায্য করি, ভালবাসি৷ পুলিশ বিপদে পড়লে পুলিশের পাশে আমি দাঁড়াই৷ পুলিশকে গালাগাল দেওয়ার কথা আমি ভাবতেও পারি না৷ পুলিশকে কেউ গাল দিলে বরং আমি তাঁকেই উল্টে অপমান করি৷ পুলিশের পাশে আমি সবসময় থাকি, কোনও ঝগড়াঝাঁটির মধ্যে যাই না৷ পুলিশ কাউকে ডেকে দিতে বললে তাঁকে আমি পুলিশের কাছে পাঠাই৷’
অনুব্রত দাবি করেছেন, দলীয় এক কর্মীকে মারধর করা হয়েছে বলে খবর পেয়েই তিনি আইসি-কে ফোন করেছিলেন৷ তখই আইসি আপত্তিকর মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ অনুব্রতর৷ যদিও আইসি তাঁকে আপত্তিকর কী বলেন, তা খোলসা করতে চাননি অনুব্রত৷
তৃণমূল নেতা বলেন, ‘আমি রাতে ঘুমের ওষুধ খাই৷ নিজের রাগ সামাল দিতে পারিনি৷ এর জন্য আমি দুঃখিত, ক্ষমাপ্রার্থী৷ এই কথা আমার মুখ দিয়ে বেরনো উচিত হয়নি৷’