সেদিন তাঁকে কাঁদতে কাঁদতে বলতে শোনা যায়, “ওর মা নেই। বাবাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। এখন ওকেও গ্রেফতার করল। ওর পাশে কেউ নেই। আমি চাই আমাকেও গ্রেফতার করুক ইডি। এছাড়া আমি আর কী সাহায্য করতে পারব? আমি নিজের চিকিৎসাই তো চালাতে পারব না।”
advertisement
কে এই সুতপা? কী করেন? কতদিনের বন্ধুত্ব অনুব্রত কন্যার সঙ্গে? উঠেছে একাধিক প্রশ। উত্তর খুঁজতে গিয়ে জানা যাচ্ছে, বোলপুরের বাঁধগোড়ার বাসিন্দা সুতপা পাল। মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে। বাবা, মা এবং ভাই ছাড়া সুতপার আর কেউ নেই। সুতপা ক্যানসার আক্রান্ত। সুতপার পরিবারের সকলেও অসুস্থ। বাবা দুর্গাপ্রসাদ পাল বেশ কয়েক বছর ধরে শয্যাশায়ী। ভাই এবং মা-ও অসুস্থ। একসময় সুতপার বাবার মিষ্টির দোকান ছিল। পরবর্তীকালে লটারি বিক্রি করতেন। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতায় ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়।
বোলপুর গার্লস হাইস্কুলে পড়াশোনা সুতপার। সেখানেই সুকন্যার সঙ্গে বন্ধুত্ব এগোয়। ২০২০ সালের ২৪ জানুয়ারি মাতৃহারা হন সুকন্যা। সেই সময় থেকে সুকন্যার সবসময়ের সঙ্গী সুতপা। ২০২২ এর আগস্টে গ্রেফতার হন অনুব্রত মণ্ডল। গত আট মাস ধরে চলা সময়ে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের পাশে পাচ্ছেন না বলে ঘনিষ্ঠ মহলে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন খোদ অনুব্রতকন্যা। তবে গোটা সময়টাই পাশে ছিলেন বন্ধু, সুতপা।
নিজে শারীরিকভাবে পুরোপুরি সুস্থ না হওয়া সত্ত্বেও বিপদে আপদে সারাক্ষণ বাল্যবন্ধুর পাশে ছিলেন তরুণী। সুতপার প্রতিবেশীদের দাবি, সুতপার চিকিৎসা-সহ তাঁদের পরিবারের খরচ বহন করতেন সুকন্যা মণ্ডল এবং অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু একের পর এক বাবা ও মেয়ের গ্রেফতারিতে কার্যত অসহায় হয়ে পড়েছে বোলপুরের এই পরিবার।