২৪ ঘণ্টা তাঁর প্রচার বন্ধের নির্দেশে চরম ক্ষুব্ধ মমতা। ঘোষণা মত মঙ্গলবার গান্ধি মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসেছেন নেত্রী। ভোটপ্রচার বন্ধ রাখার প্রতিবাদে সোমবার থেকেই প্রতিবাদ আন্দোলনে নেমেছে তৃণমূলের সর্বস্তরের নেতা কর্মীরা। তোলপাড় বঙ্গ রাজনীতি।
এই ঘটনার প্রতিবাদে কমিশনের উপর ক্ষোভ উগ্রে দিয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মন্ডল। কমিশনের দিকে তোগ দেগে বলেন, "নির্বাচন কমিশন অন্ধ ধৃতরাষ্ট্রের মতো আচরণ করছে। বিজেপি নেতাদের উস্কানিমূলক মন্তব্য চোখে দেখতে পাচ্ছে না। এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যকে ২৪ ঘন্টার জন্য ভোটপ্রচারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হল! জীবনে অনেক ভোট করেছি, কিন্তু এমন কমিশন ও কমিশনার কোনদিন দেখিনি"।
advertisement
শুধুমাত্র অনুব্রত মণ্ডলই নয়, এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন কুণাল ঘোষ, ডেরেক ও ব্রায়েনরাও। ডেরেক ও ব্রায়েনের কথায়, ‘এটা গণতন্ত্রের কালা দিন’। অন্যদিকে কুণাল ঘোষ বলেছেন, "কন্ঠরোধের চেষ্টা করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন আসলে বিজেপির শাখা সংগঠন"।
প্রসঙ্গত, কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, নির্বাচনী জনসভার মঞ্চ থেকে ধর্মের ভিত্তিতে ভোট ভাগাভাগি, নির্বাচন করানোর দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও এবং ভোটারদের বিভ্রান্ত করার অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এই কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রীকে শোকজ করার পর জবাব সন্তোষজনক হয়নি বলে জানিয়েছে কমিশন। তবে মঙ্গলবার বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য বিজেপির দিলীপ ঘোষ এবং শুভেন্দু অধিকারীকেও নোটিশ পাঠায় কমিশন। পাশাপাশি রাহুল সিনহার ওপর আগামী ৪৮ ঘন্টার জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করে কমিশন।