TRENDING:

প্রতিবাদের নামে তাণ্ডব, এখনও ধ্বংসের ছবি উলুবেড়িয়া ও সাঁকরাইলে

Last Updated:

আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় টিকিট কাউন্টার, প্যানেল রুম, স্টেশন মাস্টারের ঘর, স্টেশন সংলগ্ন কেবিনে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
EERON ROY BARMAN
advertisement

#উলুবেড়িয়া: নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদের নামে তাণ্ডব। বিক্ষোভকারীদের টার্গেট ছিল রেল। গত শুক্র, শনিবার দক্ষিণ-পূর্ব রেলের একাধিক স্টেশনে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি তান্ডব চালান আন্দোলনকারীরা। ভাংচুরের পাশাপাশি অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে। সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় সাঁকরাইল ও উলুবেড়িয়া স্টেশন। গত শুক্রবার আন্দোলনের নামে বিক্ষোভকারীরা ব্যস্ততম স্টেশন উলুবেড়িয়ায় তাণ্ডব চালান। টিকিট কাউন্টার সহ তছনছ হয়ে যায় স্টেশন চত্বরে থাকা একাধিক রেলের সামগ্রী। টাকা লুটের ঘটনা ঘটে।

advertisement

শনিবার দুপুরে আন্দোলনকারীরা সাঁকরাইল স্টেশন আক্রমণ করেন। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় টিকিট কাউন্টার, প্যানেল রুম, স্টেশন মাস্টারের ঘর, স্টেশন সংলগ্ন কেবিনে। ভাঙচুর করা হয় লেভেল ক্রসিং। থমকে যায় রেল যাত্রা। ইতিমধ্যেই সপ্তাহ ঘুরেছে। বর্তমানে এই দুই ব্যস্ততম স্টেশন ঠিক কি অবস্থায় আছে, কতটা স্বাভাবিক হয়েছে তা দেখতেই হাজির নিউজ18 বাংলা।

advertisement

ঘটনার পর দিন চার, পাঁচেক কেটে গেল এখনো উলুবেরিয়া স্টেশনে সেই তাণ্ডবের ছাপ সব জায়গাতেই। বুধবার অফিস টাইমে অনেকটাই ফাঁকা স্টেশন। তার মধ্যেই দ্রুত ছন্দে ফেরার চেষ্টা স্টেশন চত্বর। ইতিমধ্যেই চালু হয়ে গেছে টিকিট কাউন্টার। ভেঙে যাওয়া দরজা-জানলা নতুন করে মেরামতি হয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে মোতায়ন রয়েছে আরপিএফ, জিআরপি ও আরপিএসএফ। বুধবার এসডিপিও ও আইসি-সহ সশস্ত্র রেলের পুলিশ স্টেশন চত্বরে এরিয়া ডমিনেশন করেন। স্টেশন চত্বরে সন্দেহভাজন কাউকে দেখলেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন নিরাপত্তায় থাকা কর্মীরা। স্টেশন চত্বরে বেশিক্ষণ বসে থাকলেও তাদেরকে সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। দুই রেল লাইনের মাঝে জমা করে রাখা হয়েছে ভেঙে যাওয়া চেয়ার টেবিল গুলিকে।

advertisement

বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উলুবেড়িয় স্টেশন মাস্টার এস বিশ্বাস বলেন, 'পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। তবুও একটা আতঙ্ক তো রয়েছেই।' শুক্রবারের ঘটনায় প্যানেল রুমের কোনও ক্ষতি না হওয়াতে কিছুটা স্বস্তি মিলেছে। দ্রুত ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করা সম্ভব হয়েছে। তবে উলুবেরিয়া স্টেশনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হলেও যাত্রীসংখ্যা অনেকটাই কম। নিত্যযাত্রী গার্গী মন্ডল জানান, শুক্রবারের ঘটনার পর থেকে একটা ভয় লাগছে। তাই অনেক সময় পরিবারের লোককে সঙ্গে নিয়ে যাতায়াত করছি। আশাকরি পরিস্থিতি তাড়াতাড়ি স্বাভাবিক হবে।

advertisement

উলুবেড়িয়ার মত ক্ষতিগ্রস্ত হয় সাঁকরাইল স্টেশনও। বেপরোয়া হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা। আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। টিকিট কাউন্টার আগুনে পুড়ে যাওয়াতে প্রথম দুদিন বিনা টিকিটে যাতায়াত করেছেন যাত্রীরা। মঙ্গলবার থেকে অস্থায়ী কাউন্টার খোলা হয়েছে। পুরনো পদ্ধতিতে টিকিট দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। পাশেই কম্পিউটার চালিত একটিমাত্র টিকিট কাটার ব্যবস্থা হয়েছে। জায়গা না থাকায় খোলা জায়গায় রাখতে হচ্ছে টিকিটের টাকা। টিকিট কাউন্টারে দায়িত্বে থাকা রেলকর্মী জানান, আতঙ্কের মধ্যেই যাত্রী সুবিধার কথা মাথায় রেখে এই অস্থায়ী টিকিট কাউন্টার খোলা হয়েছে। মূল টিকিট কাউন্টার তৈরি হতে প্রায় এক মাস সময় লাগবে। এখন ঠিকমতো বসার জায়গাও নেই।

শনিবারের ঘটনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় সাঁকরাইলের প্যানেল রুম। কোনরকমে প্যানেল রুম সারিয়ে রেল চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করা হয়। তখনও গেট প্যানেল ঠিক না হওয়াতে ম্যানুয়ালি কাজ করতে বাধ্য হন রেলকর্মীরা। তবে বুধবারের ছবিটা অনেকটাই ভাল। গেট প্যানেল নতুন করে তৈরি হয়েছে। ভেঙে যাওয়া লেভেল ক্রসিং নতুন করে লাগানো হয়েছে। প্যানেল রুমের দায়িত্বে থাকা রেলকর্মী সুব্রত মজুমদার বলেন, 'প্রায় ৯০% ঠিকঠাক কাজ করছে প্যানেল রুম। দু-একটা ক্ষেত্রে সামান্য সমস্যা রয়েছে। তবে সেই নিয়ে কোনো সমস্যা হচ্ছে না।' স্টেশন মাস্টার নির্মাল্য চট্টোপাধ্যায় জানান, 'স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার চেষ্টা করছে সাঁকরাইল স্টেশন। আমরা অনেকটাই সেদিনের ঘটনার ট্রমা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছি।'

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

উলুবেড়িয়া স্টেশন এর মত সাঁকরাইল স্টেশনের নিরাপত্তার দায়িত্বে মোতায়েন হয়েছে রেলের সশস্ত্র বাহিনী, জিআরপি। আরপিএফ এর সাব-ইন্সপেক্টর কে কে সিং নিরাপত্তা প্রসঙ্গে বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। যাত্রীদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করছি আমরা। শনিবারের ঘটনার পর থেকে আর কোন সমস্যা হয়নি সাঁকরাইল স্টেশনে। স্কুল, কলেজ, অফিসের জন্য নিত্যযাত্রীরা সাঁকরাইল দিয়ে যাতায়াত শুরু করেছেন। তবে বেশিরভাগ মানুষের মনেই একটা আতঙ্ক রয়ে গেছে। প্রত্যেকেই চান যেন পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হয়। সব মিলিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের গুরুত্বপূর্ণ দুই স্টেশন উলুবেড়িয়া ও সাঁকরাইল নিজের চেনা ছন্দে ফিরতে বদ্ধপরিকর।

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
প্রতিবাদের নামে তাণ্ডব, এখনও ধ্বংসের ছবি উলুবেড়িয়া ও সাঁকরাইলে
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল